রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা কি সফল হবে?

তুরস্কে আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মুখোমুখি আলোচনা। কিন্তু সেই আলোচনায় আদৌ কোনো ফল হবে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।
ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনায় থাকবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে পুতিন উপস্থিত থাকবেন না। তার অনুপস্থিতির প্রতিবাদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এই বৈঠকে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন। ফলে শীর্ষবৈঠক নয়, শুক্রবার দুই দেশের খানিকটা মধ্যম সারির কূটনীতিবিদ ও প্রতিনিধিদের মধ্যে এই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে।
শান্তি বৈঠক কি সফল হবে?
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার সঙ্গে পুতিনের দেখা হওয়ার আগে শান্তি বৈঠক সফল হবে না। ২০২২ এ যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
পুতিনের বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধ থামানোর সদিচ্ছা নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জেলেনস্কি বলেন, 'পুতিনের অনুপস্থিতি অসম্মানজনক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ডোনাল্ড ট্রাম্পও সেই অসম্মানের ভাগীদার হলেন।'
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার বলেছেন, শান্তি প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার মূল্য দিতে হবে পুতিনকে।
থাকবেন তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা
জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডিপিএ কে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, এই বৈঠকে সেদেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।
রাশিয়া, ইউক্রেন ও তুরস্কের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। আরো জানা গেছে, পরবর্তীতে আমেরিকা, ইউক্রেন ও তুরস্কের মধ্যেও অপর একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। যদিও তিনি জানিয়েছেন, এই বৈঠক নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন তিনি।

অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেডিনস্কি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন বলে তারা আশা করছেন।
পূর্বনির্ধারিত শর্ত বাদ দিয়েই আলোচনায় আশাবাদী তারা।
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ক্রমাগত দরকষাকষি চলছে। উভয় পক্ষের হাজারো মানুষ এই যুদ্ধে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রায় এক পঞ্চমাংশ এখন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখলে।
এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স
Comments