বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ আয়োজিত হবে ভারতে
আফগানিস্তান সিরিজটি স্থগিত করার খবর এসেছিল গত মার্চে। তবে এবার জানা যাচ্ছে, তাদের হোম সিরিজটি আয়োজনের বন্দোবস্ত নিচ্ছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। চলমান বিশ্বকাপের পরই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে তারা। আগের মতো এবারও দুই দল মুখোমুখি হবে ভারতের এক স্টেডিয়ামে।
গ্রেটার নয়ডায় তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই দল খেলবে আগামী জুলাই ও আগস্টে। ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে দুই দলের সাদা বলের লড়াই। যদিও আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী আফগানদের সঙ্গে তিন সংস্করণেই খেলার কথা ছিল টাইগারদের। আসন্ন সিরিজের সময়ে অবশ্য টেস্টের সূচি রাখা হয়নি।
আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিজের সময়সূচি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ভারতের সংবাদমাধ্যম স্পোর্টসস্টার বলছে, জুলাইয়ের ২৫ তারিখ থেকে সিরিজটি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। ২৭ জুলাই দ্বিতীয় ওয়ানডের পর ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে। এরপর ২ আগস্ট থেকে মাঠে গড়াতে পারে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগস্টের ৬ তারিখ কুড়ি ওভারের ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে সিরিজটি।
গত মার্চে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, সিরিজটি দুই দলের সম্মতিতে স্থগিত করা হয়েছে। অন্য কোনো সময়ে তা আয়োজনের কথা বলা হয়েছিল তখন। এফটিপিতে জুলাই মাসে থাকা সিরিজটি যথাসময়েই মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা। সবগুলো ম্যাচই হবে শহিদ বিজয় সিং পাঠিক স্পোর্টস কমপ্লেক্সে।
২০১৫ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে নিজেদের ঘরের সিরিজগুলো ভারতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে হোম সিরিজ সেখানেই খেলেছে তারা। ২০১৮ সালে সিরিজটি তারা আয়োজন করেছিল ভারতের দেরাদুনে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ।
এর আগে ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রশিদ খানরা 'হোম' সিরিজ খেলেন গ্রেটার নয়ডায়। সবশেষ গ্রেটার নয়ডায় যদিও আফগানরা খেলেছেন ২০২০ সালে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন ফেরার পর দেশটির ক্রিকেট বোর্ড সিরিজগুলো আয়োজন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
গ্রেটার নয়ডার স্টেডিয়ামটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে চার বছর পর। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিব খান বলেছেন, 'বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করেছি আমাদের আয়োজকের চুক্তি চালু করে এই সিরিজটা লম্বা বিরতির পর আয়োজন সম্ভবপর করে তুলতে। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে আমাদের দুটি মাঠ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, একটি কানপুরে এবং আরেকটি গ্রেটার নয়ডায়। যেহেতু অতীতে গ্রেটার নয়ডায় খেলেছি, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি সেখানে আয়োজন করতে।'
Comments