লঙ্কা লিগে রইলেন না আর কোন বাংলাদেশি

চলমান লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে ছিলেন চার টাইগার

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে জোরেশোরে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি ছিল না কখনোই। তবে সম্প্রতি এই অঙ্গনের বিস্তৃতিতে সুযোগের দুয়ার বড় হয়েছে। কুড়ি ওভারের লিগে এদেশের ক্রিকেটারদেরও ডাক বেড়েছে। চলমান লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে যেমন চার টাইগার রয়েছেন। কিন্তু শেষমেশ রইলেন না আর কেউই। একাদশের বাইরে বসে খেলা দেখছেন এখন চারজনই।

মোস্তাফিজুর রহমান তার দলের সবশেষ তিন ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন। তাসকিন আহমেদ দুই ম্যাচ পার করে ফেলেছেন বেঞ্চে বসে। জাতীয় দলের নিয়মিত আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও একাদশে জায়গা হারিয়েছেন। আর তাওহিদ হৃদয় সেই দ্বিতীয় ম্যাচের পর থেকেই মাঠে নামার অপেক্ষায় সময় কাটাচ্ছেন। পেসারদের এই দশার পেছনে তাদের নিজেদেরই দায় দেখা ছাড়া আদতে উপায় নেই!

ডাম্বুলা সিক্সার্সের মোস্তাফিজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩ ওভারে ৪৪ রানে পান ১ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট নিতে পারেন কাটার মাস্টার। এরপরের ম্যাচে ২ উইকেট পেতে খরচ করেন ৩৯ রান। চতুর্থ ম্যাচে ৫৩ রান দিয়ে দুঃস্বপ্নের দিনই পার করেন মোস্তাফিজ। চারটি ম্যাচই হেরে যায় তার দল। ১১.০৬ ইকোনমিতে বোলিং করা এই বাঁহাতিকে ছাড়াই এরপর একাদশ সাজায় ডাম্বুলা।

দলটিতে তার বাংলাদেশি সতীর্থ হৃদয় এক ইনিংসে এক রানে আউট হয়েছিলেন। এরপর চার ম্যাচ দর্শক হয়ে ছিলেন। তার জায়গায় নিয়মিত খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার রিজা হেন্ড্রিকস।

কলম্বো স্ট্রাইকার্সের তৃতীয় ম্যাচে গিয়ে তাসকিন পান মাঠে নামার সুযোগ। মোহাম্মদ ওয়াসিমের জায়গায় তিনি আসেন একাদশে। নিজের প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। কিন্তু ভালো শুরুটা পরের দুই ম্যাচে ধরে রাখতে পারেননি। এক ম্যাচে ৪৫ রানে শিকার করেন দুটি উইকেট। আরেক ম্যাচে ৩ ওভারে ১ উইকেট পেতে খরচ করেন ৩৮ রান। এরপর ১০.২৭ ইকোনমিতে বোলিং করা তাসকিন ওয়াসিমের কাছে জায়গা হারিয়ে বসে থাকেন বাইরে।

এলপিএলে বাংলাদেশি তিন পেসারের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শরিফুল। শরিফুলকে পাঁচ ম্যাচ খেলানোর পর একাদশ থেকে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যান্ডি ফ্যালকনস। ওভারপ্রতি এই বাঁহাতি পেসার রান দিয়েছেন ১১.৬১।

নিজের প্রথম ম্যাচে শরিফুল ৪৩ রানে পেয়েছিলেন দুই উইকেট। সমান উইকেট পরের ম্যাচে শিকার করেন ৩২ রান দিয়ে। এরপরের দুই ম্যাচে উইকেটের দেখা তো পাননি, রানও বিলিয়েছেন দেদারসে। এক ম্যাচে ৩ ওভারেই দিয়ে ফেলেছিলেন ৪৭ রান, আরেক ম্যাচে ২ ওভারে ২৯ রান। ক্যান্ডির বৃষ্টিবিঘ্নিত পরবর্তী ম্যাচ হয় সাত ওভারের, সেদিন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বলই তুলে দেননি শরিফুলের হাতে৷

এলপিএলের পঞ্চম আসরে বাংলাদেশি পেসাররা নিয়মিত মুখ হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু একে একে তারা মূল দৃশ্যের বাইরেই চলে গেলেন। শ্রীলঙ্কার লিগটিতে থেকেও যেন কেউ নেই!

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago