জয়ের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ এইচপি
বাংলাদেশ এইচপির চাই ৬ উইকেট, পাকিস্তান শাহিনসের দরকার ১৬০ রান। ম্যাচের শেষ দিন রোমাঞ্চের সুবাস দিয়েই রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর ম্যাচের ফলাফল বাংলাদেশ এইচপির পক্ষে এসেছে মাহমুদুল হাসান জয়ের পাঁচ উইকেট শিকারে। এর আগে ব্যাট হাতেও তিনি রাখেন অবদান। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশিরা পেয়েছে ৫ রানের রোমাঞ্চকর জয়। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়া এইচপি দুটি চারদিনের ম্যাচের সিরিজ তাই শেষ করেছে সমতায়।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে জয় থেকে যখন ৯ রান দূরত্বে চলে এসেছিল পাকিস্তান শাহিনস, তখনও হাতে ৩ উইকেট বাকি তাদের। এরপর আটে নেমে ২১ রান করা মোহাম্মদ আলীকে বোল্ড করে দেন জয়। এক রানের মধ্যেই নয় নাম্বারে নেমে ২৮ রান করা খুররাম শেহজাদকেও আউট করেন বাংলাদেশিদের অধিনায়ক। হাসান মুরাদ শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। ২৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের দলটি থেমে যায় ২৯০ রানে।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল তারা ৪ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে। ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেছিলেন ওপেনার হাসিবউল্লাহ। এদিন ৫১ রানেই তাকে বোল্ড করেন রেজাউর রহমান রাজা। ষষ্ট উইকেট জুটিতে ৬৫ রান যোগ করে এইচপিকে যদিও চিন্তায় ফেলে দেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। তৈয়ব তাহির ও ওমাইর বিন ইউসুফের ব্যাটিং এইচপিকে জয় থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছিল। জয় এসে তাদের দুজনকেই প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন। যথাক্রমে ৪৩ ও ৪৫ রান করে আউট হন তাহির ও ইউসুফ।
২৩০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান শাহিনস। তাদের প্রয়োজন তখন ৬৬ রান। লেজের ব্যাটাররাই এরপর বাংলাদেশিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিতে সক্ষম হন। আরও একবার দলকে উদ্ধারে হাজির হন জয়। এই পার্ট-টাইম অফস্পিনার আলী ও শেহজাদের ৫৭ রানের জুটি ভেঙে দেন। তার ২১ রানে নেওয়া ৫ উইকেটের দারুণ বাংলাদেশিরা জয়ের দেখা পেয়ে যায়।
ব্যাট হাতেও দাপট দেখিয়েছেন জয়। ডানহাতি এই ব্যাটার প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৬৫ রান। প্রথম ইনিংসে এইচপি ২৫৮ রানের স্কোর গড়ার পর পাকিস্তানিদের অলআউট করে দেয় ১৭৯ রানে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৬ রান করে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দল।
পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে প্রথম চারদিনের ম্যাচে ১৪৮ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ এইচপি।
Comments