আইপিএলে দুই বছর যাদের নিষেধাজ্ঞা চায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো

IPL

নিলামে বিক্রি হওয়ার পর আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা সম্প্রতি দেখা গেছে বেশ কয়েকবার। এরকম খেলোয়াড়দের ভারতের টুর্নামেন্টটি থেকে দুই বছর নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এই ব্যাপারে দশটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই একমত পোষণ করেছে। সবাইকে বড় নিলামে নাম দিতে বাধ্য করার কথাও বিসিসিআইকে জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।

তবে বৈধ কারণ দেখাতে পারলে আপত্তি নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য বোর্ড তাদের খেলোয়াড়কে সরিয়ে নিলে, চোটে, পারিবারিক প্রয়োজন- এসব কারণে দলে যোগ দিতে না পারলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মানতে রাজি। কখন খেলতে পারবেন না, সেই ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা পেতে চায় দলগুলো।

গত মঙ্গলবার ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বিসিসিআই। সেখানে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা উপস্থিত হয়ে নিজেদের মতামত জানান। শেষ মুহূর্তে বিদেশি খেলোয়াড় সরে গিয়ে দলের পারফরম্যান্সে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেন বলে উল্লেখ করেন সকলে। দলের পরিকল্পনার বড় অংশ জুড়ে থাকেন সেই সব বিদেশি খেলোয়াড়েরা। আচমকা নাম প্রত্যাহার করলে বিপদে পড়ে যায় দলগুলো। উপযুক্ত বদলি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়, পূর্বে নিলামে অবিক্রীত খেলোয়াড় দিয়েই কাজ চালাতে হয়।

সানরাইজার্স হায়দরয়াবাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাভিয়া মারান বলেছেন, 'নিলামে বিক্রিত হওয়ার পর যদি কোন খেলোয়াড় সেই মৌসুমে খেলতে আসেন না চোট ছাড়া অন্য কোনো কারণে, তাকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা নিলামে অনেক পরিশ্রম করেন সমন্বয় সাজানোর জন্য। যদি কোন খেলোয়াড় কম দামে বিক্রি হন এবং এরপর খেলতে আসেন না, এটা দলের সমন্বয় এবং ভারসাম্যে প্রভাব ফেলে।'

চলতি বছরের আইপিএলে জেসন রয়কে ২ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ইংলিশ ব্যাটার ইনজুরি না থাকলেও খেলেননি। এর আগে ২০২২ সালে তিনি গুজরাট টাইটান্সে খেলতে আসেননি। ২০২৪ আইপিএলে ইংল্যান্ডের গাস অ্যাটকিনসনকেও পায়নি কলকাতা। সবশেষ আসরে লখনৌ সুপার জায়ান্টসে মার্ক উডও আসেননি ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা বলে। রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দেননি অ্যাডাম জ্যাম্পা। এছাড়া ডেভিড উইলি খেলেননি লখনৌতে। এর আগে ২০২২ আইপিএলে কলকাতা কিনেছিল অ্যালেক্স হেলসকে। তিনিও শেষ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।

আরেকটি বিষয়ে সব দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। ছোট নিলামে বড় অঙ্কে বিক্রি হওয়ার জন্য অনেক খেলোয়াড় বড় নিলামে নাম দেন না। ছোট নিলামে খেলোয়াড় মজুদ কম থাকে বলে দাম পাওয়া যায় বেশি। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মনে করে, কিছু খেলোয়াড় ও তাদের ম্যানেজাররা সিস্টেমের ফায়দা নিচ্ছেন এভাবে। তারা আরও বলেছেন, নতুন খেলোয়াড় কিংবা বিদেশি ভবিষ্যৎ তারকা হলে মানা যায়। কিন্তু নামীদামী খেলোয়াড়দের বড় নিলামে নাম দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

20 non-banks on BB red list

As of December last year, they disbursed Tk 25,808 crore in loans against collateral worth Tk 6,899 crore, according to the BB report

9h ago