বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ

মিরাজ-মুশফিকের জুটির রেকর্ড, চালকের আসনে বাংলাদেশ 

শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে চতুর্থ দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৯৫ রান। পাকিস্তান থেকে নাজমুল হোসেন শান্তর দল এগিয়ে আছে ৪৭ রানে। দ্বিতীয় সেশনে কোন উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ যোগ করেছে আরও ১০৬ রান।
Mushfiqur Rahim

পাকিস্তানি বোলারদের হতাশায় পুড়িয়ে আরেকটি দারুণ সেশন পার করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পুঁজি ছাড়িয়ে লিড নেওয়ার পথে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। 

শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে চতুর্থ দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে  বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৯৫ রান। পাকিস্তান থেকে নাজমুল হোসেন শান্তর দল এগিয়ে আছে ৪৭ রানে। দ্বিতীয় সেশনে কোন উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ যোগ করেছে আরও ১০৬ রান।

মুশফিক ১৭৩ ও মিরাজ ৫০ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। তাদের জুটিতে এসে গেছে ১৬৩ রান। টেস্টে সপ্তম উইকেটে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি। এর আগে ২০১০ সালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান হেমিল্টনে সপ্তম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েছিলেন ১৪৫ রানের জুটি। মিরাজ-মুশফিক এবার সেটা ছাপিয়ে গেলেন।

mehidy hasan miraz

লাঞ্চ বিরতির আগে নিজের একাদশ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক। ৬ উইকেটে ৩৮৯ রান তুলে লাঞ্চে গিয়েছিল সফরকারী দল। লাঞ্চ থেকে ফিরে সেই একই গতি থাকে বজায়। পাকিস্তানের বোলারদের সাদামাটা বোলিং অনায়াসে সামলে দলের ভিত শক্ত করে ফেলেন দুজন।

লিড ছাড়িয়ে যেতে কোন সমস্যাই হয়নি। লিড পার করে মুশফিক দেড়শো স্পর্শ করে একটা সুযোগ অবশ্য দিয়েছিলেন। সালমান আগার বলে লেগ স্পিনে মুশফিকের মহামূল্যবান ক্যাচ ফেলে দেন বাবর আজম।

জীবন পেয়ে মুশফিক যোগ করে ফেলেছেন আরও ২৩ রান, নিজের একমাত্র ছক্কাও মেরেছেন এরপর। জুটিতে তার সঙ্গী মিরাজ খেলছেন অতি সতর্ক হয়ে। নিজেকে একদম গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। ১২০ বলে গিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন এই অলরাউন্ডার।

সতর্ক পথে রান বাড়ালেও একদম ভুগতে দেখা যাচ্ছে না মিরাজকেও। এই টেস্টে বাংলাদেশের হারের শঙ্কা মূলত নেই বললেই চলে। নিষ্প্রাণ উইকেটে ম্যাচ ড্র হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Former planning minister MA Mannan arrested in Sunamganj

Police arrested former Planning Minister MA Mannan from his home in Sunamganj's Shatiganj upazila yesterday evening

1h ago