পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে হাসানের অনন্য কীর্তি
টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগেও ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের চার বোলার। তরুণ হাসান মাহমুদকে নিয়ে সংখ্যাটা বেড়ে হলো পাঁচ। কিন্তু একটি জায়গায় তিনি অনন্য। টাইগারদের পেসারদের মধ্যে হাসানই প্রথম পাকিস্তানের বিপক্ষে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৫ উইকেট নিলেন। বাকিরা ছিলেন স্পিনার।
সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে দাপট দেখান বাংলাদেশের তিন পেসার। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রান অলআউট করতে ১০ উইকেটের সবগুলোই নেন তারা মিলেমিশে। ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নায়ক হাসান। কম যাননি গতিময় পেসার নাহিদ রানা। তার শিকার ৪৪ রানে ৪ উইকেট। অভিজ্ঞ তাসকিন আহমেদ ১ উইকেট নিতে খরচ করেন ৪০ রান।
তিন টেস্টের ক্যারিয়ারে ২৪ বছর বয়সী হাসান নিলেন প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সপ্তম পেসার হিসেবে এই সংস্করণে এক ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। পাকিস্তানের মাটিতে তো বটেই, পাকিস্তানের বিপক্ষেই তিনিই প্রথম।
টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকার করা আগের বাংলাদেশিরা সবাই ছিলেন ঘূর্ণি বোলার। তারা হলেন মোহাম্মদ রফিক, তাইজুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এদের মধ্যে রফিক ও তাইজুল দুবার করে এই স্বাদ নেন।
আগের দিন হাসান সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও নাইটওয়াচম্যান খুররম শাহজাদকে। এদিন তিনি আউট করেন বিপজ্জনক মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং দুই টেল এন্ডার মোহাম্মদ আলী ও মীর হামজাকে। নাহিদের তোপে ৮১ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তানের হয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন রিজওয়ান ও আগা সালমান। তাদের ৫৫ রানের জুটি ভাঙেন হাসান। পরের বলে আলীকে বিদায় করে জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও।
ড্রাইভ করার চেষ্টায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রিজওয়ান। খোঁচা মেরে আলী ধরা পড়েন স্লিপে। এরপর হাসান ও নাহিদের মধ্যে অন্যরকম প্রতিযোগিতা ছিল ৫ উইকেট নেওয়ার জন্য। সেখানে শেষ হাসি হাসানেরই। তার বল হামজার ব্যাট-প্যাড হয়ে ধরা পড়ে স্লিপে। হামজা রিভিউ নিলেও মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত টিকে যায়।
Comments