বৃষ্টিতে ভেসে যেতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন
দেশের বাইরে একবারই প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ দল। তবে ২০০৯ সালে সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলে ছিলেন না তাদের মূল খেলোয়াড়রা। পূর্ণ শক্তির দলকে এবারই প্রথম হোয়াইটওয়াশ করার খুব কাছাকাছি রয়েছে টাইগাররা। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে দিতে পারে বেরসিক বৃষ্টি।
রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৪২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ রানের জয়ের লক্ষ্য থেকে ১৪৩ রান দূরে রয়েছে তারা। সফরকারীদের হাতে অক্ষত আছে ১০ উইকেটের সবকটি। প্রকৃতি বিরূপ না হলে ইতিহাস গড়ার খুব কাছেই টাইগাররা। একই ভেন্যুতে আগের টেস্টে ১০ উইকেটে জিতেছিল তারা।
সব আলোচনা এখন ওই বৃষ্টি নিয়েই। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের পুরোটাই গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। আর আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনে খেলা হয়েছে স্রেফ এক ওভার। জাকির হাসান যে মেজাজে শুরু করেছিলেন, তাতে এদিনের পুরো খেলা হলে জয়ের খুব কাছেই যেতে পারতো বাংলাদেশ। এমনকি জয় তুলে নেওয়াও অসম্ভব ছিল না। ২৩ বলে তিনি অপরাজিত আছেন ৩১ রানে। সঙ্গী সাদমান ইসলাম খেলছেন ১৯ বলে ৯ রানে।
দুশ্চিন্তার বিষয় টেস্টের পঞ্চম দিনেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। অ্যাকুওয়েদারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকালে রয়েছে বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা। বিবিসির প্রতিবেদনও বলছে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। তবে দুপুরের পর কিছু সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বিকেলের দিকে আকাশ ক্রমশ রৌদ্রোজ্জ্বল হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
পূর্বাভাস সত্যি হলে, প্রথম সেশন ভেসে যেতে পারে বৃষ্টিতে। ভেসে যেতে পারে দ্বিতীয় সেশনের বড় একটি অংশও। তবে তৃতীয় সেশনে সময় মিলতে পারে বাংলাদেশের। আলো কতোটা থাকবে সেটাও দেখার বিষয়। তবে যতটুকু সময় মিলবে তা জয় তুলে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট হতে পারে নাজমুল হোসেন শান্তর জন্য।
১৫ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বনিবনা না হওয়ায় সেবার খেলেছিল দ্বিতীয় সারির ক্যারিবিয়ান দল। এছাড়া, তুলনামূলক দুর্বল জিম্বাবুয়ের মাটিতে সিরিজ জেতার স্বাদ আছে বাংলাদেশের। সেটা অবশ্য ছিল এক ম্যাচের সিরিজ। এই টেস্টে হার এড়াতে পারলে তৃতীয়বার দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জেতার নজির গড়বে টাইগাররা।
Comments