সময়ের সেরা ব্যাটারকে আউট করে খুশি হাসান
বিরাট কোহলির উইকেট যখন পেলেন তখন খুব খ্যাপাটে কোনো উদযাপন করেননি হাসান মাহমুদ। আট-দশটা স্বাভাবিক উইকেটের মতোই ছিল তার প্রতিক্রিয়া। তবে সময়ের সেরা উইকেট পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অকপটে স্বীকারও করে নিয়েছেন এই টাইগার পেসার।
বৃহস্পতিবার চেন্নাইর চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে সকালে বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরান হাসান। সিম মুভমেন্ট কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে এগিয়ে রেখেছিলেন এই পেসার। ১৪৪ রানেই ৬ উইকেট পরে গিয়েছিল স্বাগতিকদের। তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার প্রতিরোধে দিনটা রাঙাতে পারেনি টাইগাররা।
সকালে হাসানে বোলিংয়ে স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টায় ৫ ওভার বল করে ৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে দিয়ে শুরু। এরপর শুবমান গিল ও বিরাট কোহলির উইকেট। পরে পেয়েছেন রিশাভ পান্তের উইকেটও। তবে এরমধ্যে কোহলির উইকেটই বেশি তৃপ্তি দিয়েছে তাকে।
সংবাদ সম্মেলনে এই তরুণ বললেন, 'আমার পরিকল্পনা খুব সাধারণ ছিল। নতুন বলে আমি নিজের শক্তি অনুযায়ী বোলিংয়ের চেষ্টা করেছি। যেটা আমি ভালো পারি, সেটাই পুরো সময় করতে চেয়েছি। এরই ফল পেয়েছি। সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। আমি নিজের জোনে ছিলাম। যেকোনো ব্যাটসম্যানের উইকেট নেওয়া আনন্দের বিষয়। তো খুব ভালো লাগছে।'
কোহলিকে আউট করে নিজের প্রতিক্রিয়া নিয়ে হাসান বললেন, 'এটা তেমন উদযাপন ছিল না। আমার একটা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানকে আউট করায় খুশি ছিলাম। যে কারোই খুশি হওয়া উচিৎ। যেটা বললাম, আমার পরিকল্পনা খুব সাধারণ ছিল। শেপ ঠিক রেখে সিম আপ করার চেষ্টা করেছি, শেপ অ্যাওয়ে করার চেষ্টা করেছি।'
হাসানের দারুণ শুরুর পরও অবশ্য প্রথম দিনটা ভারতের। তবে দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করছেন এই পেসার, 'আমার মনে হয়, সকালের দিকে উইকেটে কিছু সিম মুভমেন্ট ছিল। পরে ধীরে ধীরে উইকেট সেটেল হয়ে গেছে। বল ভালোভাবে ব্যাটে এসেছে। তবু শেষ দিকে আমি কিছু মুভমেন্ট পেয়েছি। আশা করি, কালকে আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারব।'
'একটা সময় মোমেন্টাম ছিল আমাদের দিকে। এখন ওই দিকে শিফট হয়ে গেছে। এটাই ক্রিকেট। যে কোনো কিছু হতে পারে এখন। কালকে সকালে আবার আমাদের দিকে ফিরে আসতে পারে। আমাদের চেষ্টা থাকবে আমরা যেন রান চেক দিয়ে বোলিং করতে পারি,' যোগ করেন এই পেসার।
Comments