স্কুল আধাবেলা বন্ধ, সাকিবের জন্য শুভ কামনা কানপুরের ভক্তদের
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হতে বিলম্বিত হয়েছে। তবে তাতে কানপুরে উত্তেজনার কোনো ঘাটতি নেই। কারণ স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটি বিশাল দল এই টেস্ট ম্যাচ দেখতে হাজির হয়েছেন।
কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা নিজস্ব ছাত্র গ্যালারি রয়েছে। সেখানে সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের ঢল নামে। এমনিতেই কানপুরের স্থানীয়রা ক্রিকেট বান্ধব। তার উপর শুক্রবার অর্ধদিবস স্কুল ছুটি থাকায় ভিড় আরও বেড়েছে।
যে কোনও রাস্তা থেকে স্টেডিয়ামে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসিত জনতার ভিড় বাড়তে দেখা গিয়েছে। বিশেষকরে ভারতের প্রতি তাদের সমর্থন দেখানোর জন্য বিশাল লাইন দেখা যায়। ২০২১ সালে সবশেষ এই শহরে টেস্টের আয়োজন করেছিল। তাদের প্রিয় দলকে তাদের নিজস্ব শহরে খেলতে দেখতে তিন বছর পেরিয়ে গেছে প্রত্যাশিত ভক্তদের।
'এটা অনেক আনন্দের ব্যাপার। দল আবার এখানে এসেছে। এখানে একটি ম্যাচ হওয়ায় সকল মানুষ খুশি। আমি নিয়মিত ম্যাচগুলোতে উপস্থিত থাকি এবং ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচেও ছিলাম। আমি প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে গোয়ালিয়রেও যাচ্ছি,' ডেইলি স্টারকে এমনটাই বলেছেন ধরম কুমার মোদি নামে এক ভারতীয় ভক্ত।
এদিকে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছেন ধরম, 'আমি কি বলতে পারি, আপনার প্রচেষ্টা যাই হোক না কেন ভবিষ্যতের জন্য শুভ হোক স্যার।'
আনন্দ নামে আরেক ভক্ত বলেছেন যে তারা ইতিমধ্যে সিরিজের বাকি অংশের জন্য ফ্লাইট এবং হোটেল বুক করেছেন। যদিও বাংলাদেশ কঠিন প্রতিপক্ষ হবে বলেই ধারণা করেছিলেন তারা। এখন তারা ভিন্ন কিছু অনুভব করছেন, 'এটা সত্যিই দারুণ কিছু যে অনেকদিন পর কানপুর আবার টেস্ট ম্যাচ পেল। আমরা ভারতকে সমর্থন করতে এসেছি।'
'আমাদের হোটেল এবং ফ্লাইট বাকি সিরিজের জন্যও বুক করা আছে। বাংলাদেশ যেভাবে পাকিস্তানের সাথে খেলেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছিল তারা চ্যালেঞ্জ জানাবে। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর মনে হচ্ছে এটা দুই-তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে,' যোগ করেন আনন্দ।
মাঠে ছাত্রদের বিশাল একটি দল উপস্থিত হয়েছে। অনেকেই স্কুল ইউনিফর্ম পরে মাঠে এসেছেন। খেলা দেখতে আসায় ক্লাস ব্যাংক হবে কিনা জানতে চাইলে এক ছাত্র বলেন, 'স্কুল বন্ধ।'
প্রথম দিনে ভারতের ব্যাটিং দেখতে এসেছেন মায়াঙ্ক নামের এক ছাত্র, 'অবশ্যই বুমরাহকে অ্যাকশনে দেখতে চাই কিন্তু আমি চাই ভারত আগে ব্যাট করুক।'
সারিতে আসা শিক্ষার্থীদের দলের সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকদেরও লাইনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। গুরু হার রাই অ্যাকাডেমি থেকে রাজপাল নামে এক স্কুল শিক্ষক বলেছেন যে হাজার হাজার লোক খেলায় অংশ নিলেও স্কুল আসলে খোলা রয়েছে।
'স্কুল বন্ধ নেই। আজ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ক্লাস নেই। দুপুরের খাবারের সময় চলে যাব আমরা। আমাদের এখানে ছয় থেকে সাতজন শিক্ষক আছে এবং একটি ছাত্র গ্যালারি থাকায় টিকিটের প্রয়োজন নেই,' বলেন রাজপাল।
Comments