কানপুরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের যে চ্যালেঞ্জ দেখছেন শান্ত

প্রথম দিনে তবুও এক সেশনের কিছু বেশি সময় খেলা হয়েছিল। কিন্তু কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে একটি বলও মাঠে গড়াল না বৃষ্টির বাগড়ায়। একটানা খেলা না হওয়াকে ব্যাটারদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বৃষ্টি শেষে উইকেটের আচরণ কেমন হবে সেটাও ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ককে।

শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। সকালে বৃষ্টির তোড় কমে গেলেও মাঠ ছিল ভেজা। দুই দলের ক্রিকেটাররা স্টেডিয়ামে এলেও সোয়া নয়টায় হোটেলে ফিরে যান। মাঠকর্মীরা পানি নিষ্কাশনের কাজ করতে থাকলেও পৌনে দুইটায় আবারও শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তাতে আর দিনের খেলার শুরুর কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাননি আম্পায়াররা।

বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় শান্ত বলেছেন, বৃষ্টি আসার চিন্তা মাথায় নিয়ে খেলা ব্যাটারদের জন্য সহজ নয়। প্রায় দুদিন ধরে ঢেকে রাখা উইকেট পরবর্তীতে কেমন আচরণ করে তা নিয়েও দুশ্চিন্তা রয়েছে তার, 'উইকেট ভালোই ছিল। এখানে চ্যালেঞ্জ যেটা বেশি সেটা হলো, অন অ্যান্ড অফ খেলা হচ্ছে। যে কোনো সময় বৃষ্টির একটা বাধা থাকেই। এটা মাথায় নিয়ে ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করছে, যেটা একটা কঠিন ব্যাপার। এটা ছাড়া আমি বলব, উইকেট ভালোই ছিল। সামনে হয়তো ডে থ্রি, ডে ফোর… যেহেতু বৃষ্টি, রোদও পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে সামনে খেলাটা এগোলে বোঝা যাবে উইকেট কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে।'

গতকাল শুক্রবার প্রথম দিনে বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়া আগে খেলা হয় মাত্র ৩৫ ওভার। বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ১০৭ রান। দুই অভিজ্ঞ মুমিনুল হক ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ৬ রানে অপরাজিত আছেন। বিরূপ আবহাওয়ায় অলস সময় পার করতে থাকা নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার শান্ত, 'খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই হতাশাজনক ব্যাপার। অনেক কষ্ট করে খেলাটা শুরু হলো। কিছুক্ষণ খেলাও হলো। তারপর বন্ধ হয়ে গেল। আজ সারাদিনই খেলা হয়নি। খেলোয়াড়দের জন্য এটা হতাশাজনক। কিন্তু কিছু করারও নেই। তবে খেলা হলে ভালো লাগত।'

বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, একটা উইকেট কম পড়লে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই টেস্টে শক্ত অবস্থানে থাকতেন তারা, 'আমার মনে হয়, একটা উইকেট আমাদের বেশি পড়েছে। ব্যাটিংয়ে শুরুটাও ভালো হয়েছিল আমাদের। এখনো ভালোই আছে। আমি বলব না যে খুব খারাপ অবস্থানে আছি। আমাদের অনেকগুলো ব্যাটসম্যান আছে। এখান থেকে যদি দুটি বড় জুটি হয়, তাহলে আমরা খুব ভালো অবস্থানে যেতে পারব। এই মুহূর্তে যদি খেলার অবস্থান দেখি, তাহলে আমি বলব আমরা মাঝামাঝি একটা জায়গায় আছি।'

Comments

The Daily Star  | English
rooppur-nuclear-power-plant

Gridline woes delay Rooppur Power Plant launch

The issue was highlighted during an International Atomic Energy Agency (IAEA) inspection in March

51m ago