বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি: গোয়ালিয়রে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন

ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি কোনো ঝামেলা ছাড়াই আয়োজনের জন্য গোয়ালিয়রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই ধারাবাহিকতায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হবে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। তারা ম্যাচের দিন দুপুর ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে। মধ্য প্রদেশের অন্তর্গত গোয়ালিয়রে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এর আগে সেখানে সব ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান। এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।

গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা বলেছেন, 'ম্যাচের দিন পুলিশ সদস্যরা দুপুর ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকরা বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। নিষেধাজ্ঞা জারির পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চোখ রাখছি।'

শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গোয়ালিয়র। ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল রোববার গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ আয়োজনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। তাদের দাবি, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর 'নিপীড়ন' করা হচ্ছে। সেটার প্রতিবাদে প্রথম টি-টোয়েন্টির দিন শহরটিতে 'বনধ' ডেকেছে ভারতের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলটি। এছাড়া, আরও কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।

এতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তবে স্থানীয় প্রশাসন নির্বিঘ্নে ম্যাচটি আয়োজন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গত বুধবার থেকে যে দুটি হোটেলে বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটাররা অবস্থান করছেন, সেগুলোকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ অনুসারে, গোয়ালিয়র জেলার সীমানার মধ্যে কোনো ব্যক্তি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এই আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যাঘাত ঘটায় বা ধর্মীয় উস্কানি দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের সমস্ত ব্যানার, পোস্টার, কাটআউট, পতাকা ও অন্যান্য আপত্তিকর সামগ্রী নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শুধু তা-ই নয়। পাঁচ বা এর বেশি লোকের জমায়েত, আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও তলোয়ার বা বর্শার মতো তীক্ষ্ণ ও ধারাল অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমস্ত ভবনের ২০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কেরোসিন, পেট্রোল ও অ্যাসিডের মতো দাহ্য পদার্থের ব্যবহারও নিষিদ্ধ থাকবে।

গোয়ালিয়রের মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ১৪ বছর পর জেলাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হবে ৩০ হাজার ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট স্টেডিয়ামটির।

Comments

The Daily Star  | English

Main Eid congregation held at National Eidgah

With due religious solemnity and fervour, the main congregation of Eid-ul-Azha was held at the National Eidgah.

10m ago