দুই দশক পর পুনরুজ্জীবিত হতে যাচ্ছে আফ্রো-এশিয়া কাপ
দুই দশক আগে থমকে যাওয়া আফ্রো-এশিয়া কাপ আবার পুনরুজ্জীবিত হতে যাচ্ছে। আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যাসোশিয়েশন (এসিএ) বার্ষিক সাধারণ সভার পর এমন সিদ্ধান্তই এসেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
শনিবার বার্ষিক সাধারণ সভায় ৬ সদস্যের অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য, আফ্রিকা মহাদেশের খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতা মূলক আসরে সুযোগ বাড়ানো। এরমধ্যে একটা লক্ষ্য হচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সঙ্গে মিলিত হয়ে আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজন।
দুই মহাদেশের মধ্যকার দল নিয়ে টুর্নামেন্টটির দুই আসরই এই পর্যন্ত হয়েছে। ২০০৫ সালে প্রথম আসর হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ২০০৭ সালের আসর হয় ভারতে। ২০০৯ সালে তৃতীয় আসর কেনিয়ায় আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলে তা আর হয়নি।
এবার টুর্নামেন্টটি ফিরলে রাজনৈতিক বৈরী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা আবার একই দলে খেলবেন। দুই দেশের মধ্যে লম্বা সময় ধরে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ বন্ধ আছে।
এসিএ'র অন্তর্বর্তী প্রধান টেভেঙ্গওয়া মুকালানি বলেন, 'আফ্রো-এশিয়া কাপ ক্রিকেটের বাইরেও ভীষণ দরকারি অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসবে সংগঠনের জন্য, সেটা দুই দিকের জন্যই। আমরা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলেছি। আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। তারা চাইছে আফ্রো-এশিয়া কাপ যেন আবার চালু হয়।'
২০০৫ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে একটি করে ম্যাচ জিতেছিল এশিয়া একাদশ ও আফ্রিকা একাদশ। আরেকটি ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত। ২০০৭ সালে এশিয়া একাদশ জিতেছিল তিন ম্যাচের সবগুলোই।
২০০৫ সালে ইনজামাম উল হকের নেতৃত্বে এশিয়া একাদশে খেলেছেন রাহুল দ্রাবিড়, আশিস নেহরা, অনিল কুম্বলেরা। ২০০৭ সালে এশিয়া একাদশে ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দে সিং ধোনি, সৌরভ গাঙ্গুলি, হরভজন সিং, জহির খান, যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্রর শেবাগ, মোহাম্মদ আসিফ, মোহাম্মদ ইউসুফ, শোয়েব আখতার, মাশরাফি মর্তুজারা।
তখন অবশ্য ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক ক্রিকেট চালু ছিলো। ২০০৮ সালে মুম্বাইতে বোমা হামলার পর দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায়। ২০১২-১৩ সালে একটি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ হয়েছে বটে, এরপর আইসিসি আসর ছাড়া এই দুই দল একে অন্যের বিপক্ষে খেলেনি। ভারতীয় দল আর পাকিস্তান সফরে যায়নি। পাকিস্তান দল যদিও একাধিকবার আইসিসি আসর খেলতে ভারত সফর করেছে।
Comments