আইপিএল নিলাম: অবিক্রীত থাকলেন মোস্তাফিজ-রিশাদ

Mustafizur Rahman

ভারতের আইপিএলের মেগা নিলামের আগে মোস্তাফিজুর রহমানকে ছেড়ে দিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। নিলামে থাকা বাংলাদেশের ১২ ক্রিকেটারের মধ্যে এবার সবার আগে উঠল তার নাম। কিন্তু কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই আগ্রহ দেখাল না কাটার মাস্টার খ্যাত বাঁহাতি পেসারের প্রতি। তার মতো অবিক্রীত থাকলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও।

সৌদি আরবের জেদ্দায় আইপিএলের দুইদিনব্যাপি মেগা নিলামের দ্বিতীয় দিনে অ্যাক্সিলারেটেড রাউন্ডে নাম ওঠে মোস্তাফিজের। তার ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি। কিন্তু নিলামের সঞ্চালক মল্লিকা সাগর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কেউ সাড়া দেয়নি। একটু পর ৭৫ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যের রিশাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। ফলে দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটারকেই নিল না কোনো দল।

নিলামে নাম ওঠার তালিকায় অভিজ্ঞ মোস্তাফিজ ছিলেন ১৮১ নম্বরে, তরুণ রিশাদ ১৮৭ নম্বরে। বাংলাদেশের বাকি খেলোয়াড়দের মধ্যে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটনের অবস্থান ২৪৮তম, ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়ের ২৯৮তম। বাকিরা চারশর বাইরে। সব মিলিয়ে নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় নাম আছে ৫৭৭ জনের।

ফাইল ছবি: এএফপি

গত মার্চ থেকে মে মাসে অনুষ্ঠিত সবশেষ আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন মোস্তাফিজ। নিলাম থেকে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে পান দল। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসরটির পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে গতবার ৯ ম্যাচ খেলেন তিনি। শিকার করেন ১৪ উইকেট। তবে তিনি ওভারপ্রতি গড়ে ৯.২৬ করে রান দিয়েছিলেন।

চেন্নাই ছিল আইপিএলে মোস্তাফিজের পঞ্চম ফ্র্যাঞ্চাইজি দল। এর আগে আরও চারটিতে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১৬ সালে নিজের অভিষেক আইপিএল আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। চেন্নাইতে নাম লেখানোর আগে মোস্তাফিজ খেলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালসে।

নিলাম থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে দল পেলেও আইপিএলে আগ্রহ জাগাতে পারেননি রিশাদ। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বিগ ব্যাশ। সেখানে হোবার্ট হ্যারিকেন্সের হয়ে খেলবেন তিনি। তবে পুরো মৌসুম থাকতে পারবেন না। বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বিপিএল নিয়ে ব্যস্ততার কারণে বিসিবি থেকে এক সপ্তাহের জন্য বিগ ব্যাশে খেলার অনুমতিপত্র পেতে যাচ্ছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

14h ago