জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি

ঝড়ো ফিফটিতে আগমনী বার্তা আজিজুলের

সিনিয়র পর্যায়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন আজিজুল হাকিম তামিম। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে বড় পুঁজি এনে দিতে সাহায্য করেন। ফিফটি তুলে নিজ দলের সর্বোচ্চ স্কোরারও তিনি। কিন্তু দিন শেষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি জুনিয়র টাইগারদের অধিনায়ক। হাবিবুর রহমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয় মিলেছে রাজশাহী বিভাগের। তবে আগমনী বার্তাটা ঠিকই দিয়ে রাখলেন তিনি।

বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে ডিএলএস ম্যাথোডে খুলনা বিভাগকে হারিয়েছে রাজশাহী বিভাগ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭২ রান করে খুলনা। জবাবে ১৭.২ ওভারে রাজশাহী ৩ উইকেটে ১৫৩ রান তোলার পর আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হলে ডিএলএস ম্যাথোডে খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয়।

সদ্যই আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে শিরোপা জেতাতে সাহায্য করেছেন আজিজুল। একাধিক ম্যাচে চাপের মুখে ব্যাটিং করে টুর্নামেন্টে ২৪০ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। তার ব্যাটেই সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে দলটি। পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের স্লেজিংয়ের কড়া জবাব দিয়েও আলাদা করে নজর কাড়েন।

এদিন ইনিংসের শুরুতেই এনামুল হক বিজয়কে হারানোর পর মাঠে নামেন আজিজুল। আরেক ওপেনার অমিত মজুমদারের সঙ্গে হাল ধরে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। তাতেই বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় দলটি। নিহাদুজ্জামানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস। ৩টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কায় সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। এরপর নুরুল হোসেন সোহান ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭২ রানের পুঁজি পায় খুলনা।

১৫ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন মৃত্যুঞ্জয়। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ৩৬ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করেন অধিনায়ক সোহান। অমিতের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। রাজশাহীর পক্ষে ৪ ওভার বল করে ১৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন ফরহাদ রেজা। ২টি শিকার মোহর শেখ অন্তরের।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে রাজশাহীকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে আউট হন হাবিবুর। ৩৮ বলে খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। যেখানে ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪টি ছক্কা। এরপর দ্রুত ফিরে যান আরেক ওপেনার সাব্বিরও। ২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর মেহরব হোসেনের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন উইকেটরক্ষক প্রিতম কুমার। এরপর মেহরবের বিদায়ে এ জুটি ভাঙলে পরে আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হলে বৃষ্টি আইনে জয় পায় তারা। প্রিতম ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। ২৬ রান করেন মেহরব। খুলনার হয়ে ৩২ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান মৃত্যুঞ্জয়।

Comments

The Daily Star  | English
International Crimes Tribunal 2 formed

Govt issues gazette notification allowing ICT to try political parties

The new provisions, published in the Bangladesh Gazette, introduce key definitions and enforcement measures that could reshape judicial proceedings under the tribunals

1h ago