সাদমানের ব্যাটে রংপুরকে হারের স্বাদ দিল ঢাকা মেট্রো

দারুণ ক্রিকেট উপহার দিয়ে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত ছিল রংপুর বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো। এদিনের ম্যাচ ছিল কোনো দলের এগিয়ে যাওয়ার। সেখানে জিতেছে ঢাকা মেট্রো। বোলারদের দাপটে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রাখে তারা। এরপর সাদমান ইসলামের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নিয়েছে নাঈম শেখের দল।

বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রংপুরকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৩ ওভারে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। জবাবে ২৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রো।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অবশ্য দলীয় ২৫ রানে সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক নাঈম শেখ। তার ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। আরেক ওপেনার ইমরানুজ্জামান ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৫ রানে। এরপর আনিসুর রহমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাদমান। গড়েন ৮০ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর সাদমান আউট হলে বাকি কাজ শেষ করেন আনিসুর।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন সাদমান। ৩৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। আনিসুর অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে। ৩০ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ইমরানের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আলিস আল ইসলামের ঘূর্ণিতে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। তোপ দাগান আবু হায়দার রনিও। ফলে ৩৮ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর এনামুল হক এনামের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটিতে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন আলাউদ্দিন বাবু।

২৩ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। ২টি চারের সঙ্গে মারেন ৫টি ছক্কা। এনাম ২৮ বলে ৩টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৩৪ রান। ঢাকা মেট্রোর পক্ষে ৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন আবু হায়দার। ২২ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার আলিসেরও।

একই সময়ের অপর ম্যাচে সিলেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.১ ওভারে ১৪০ রান তোলে রাজশাহী। জবাবে ২৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে সাইফ হাসানের দল।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তরুণ ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও অভিজ্ঞ ওপেনার রনি তালুকদারের ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় ঢাকা। স্কোরবোর্ডে ৯৬ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। ওয়াসি সিদ্দিকির ঘূর্ণিতে এই দুই ওপেনার ফিরলেও সমস্যা হয়নি দলটির।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন জাওয়াদ। ৩৯ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ২৩ বলে ৩৩ রান করেন রনি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। আরিফুল অপরাজিত ১৯ রান করেন। রাজশাহীর হয়ে ওয়াসি পান দুটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় রাজশাহী। ব্যক্তিগত ১ রানে তরুণ পেসার ইকবাল হাসান ইমনের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এরপর হাবিবুর রহমান ও তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে যথাক্রমে ৩০ ও ৪৬ রানের জুটি গড়ে আউট হন সাব্বির হোসেন। সাব্বিরের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ৩৪ রানের ব্যবধানে শেষ ছয়টি উইকেট হারায় তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন তাওহিদ। ২৬ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ১৯ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩২ রান করেন সাব্বির। হাবিবুর করেন ১৯ রান। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ঢাকার পক্ষে ২৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন ইমন। 

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

10h ago