ফিরে দেখা ২০২৪

দূরের কথা না ভেবে এই সময়টা উপভোগ করতে চান নাহিদ

Nahid Rana

বাংলাদেশের ক্রিকেটে গুমোট পরিস্থিতির মাঝে যেন এক ফুরফুরে হাওয়া হয়ে এসেছেন নাহিদ রানা। ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারা কেউ বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারেন, এমন কল্পনাও কয়েক বছর আগে তেমন কেউ করেনি। নাহিদ শুধু গতিই নয়, স্কিলে যুক্ত করেছেন আরও বৈচিত্র্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতোমধ্যে ছাপ রাখা ২১ পেরুনো এই তরুণের ভাবনার জগত এখনো অনেক সরল। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি শুনিয়েছেন নিজের হালচাল।

২০২৪ সালে আপনার পারফরম্যান্স কীভাবে সারসংক্ষেপ করবেন?

নাহিদ রানা : আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই আমার সবকিছুই খুব ভালো গেছে। প্রথম ম্যাচ [শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট] খেলার সময় আমি বুঝতে পেরেছিলাম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসলে কী। প্রতিটি ম্যাচের আগে আমি ভালো প্রস্তুতি নিই এবং আমি যেসব অর্জন করেছি তাতে আমি খুশি।

বছরের সেরা মুহূর্ত কোনটি ছিল?

নাহিদ: অনেকগুলো আছে। পাকিস্তান সিরিজটি অবশ্যই আমার পছন্দের একটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটিও থাকবে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে নাকি উপমহাদেশে বোলিং করতে বেশি ভালো লেগেছে?

নাহিদ: আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজে বোলিং উপভোগ করেছি। উইকেটটি সত্যিই ভালো ছিল। যখন আমি গতি তৈরি করার চেষ্টা করেছি, তখন আমি ভালো ক্যারি পেয়েছি। সামগ্রিকভাবে, পরিস্থিতি, দলের বন্ধন এবং অন্য সবকিছুই ওয়েস্ট ইন্ডিজে নিখুঁত ছিল।

আপনার নিখাদ গতি আপনাকে আলাদা করে তোলে। এটি বজায় রাখার জন্য আপনি কী ধরনের কাজ করেন?

নাহিদ: আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট থাকার চেষ্টা করছি। আমি নিজেকে মানসিকভাবে এমন একটি অবস্থানে প্রস্তুত করছি যেখানে আমি সুযোগ পেলেই নিজেকে প্রমাণ করতে পারি। আমি আমার খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের সময় এবং জিমেও শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার চেষ্টা করছি যাতে আমি ফিট থাকতে পারি।

ক্যারিয়ারের এতো তাড়াতাড়ি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ আপনি কীভাবে এত ভালোভাবে সামলাচ্ছেন?

নাহিদ: আমি সবসময় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা করি। আমি পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বুঝতে চেষ্টা করি উইকেটটি কীভাবে আচরণ করছে এবং পরিস্থিতি অনুধাবন করে বোলিং করার চেষ্টা করি। আমি আমার খেলা উপভোগ করার চেষ্টা করি।

টিম ম্যানেজমেন্ট কয়েকবার আপনাকে ওয়ার্ক লোডের জন্য জন্য বিশ্রাম দিয়েছে। এ নিয়ে আপনার কেমন লাগছে?

নাহিদ: তারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং অভিভাবক। তারা আমার কাজের চাপ সামলানোর চেষ্টা করছে, আমার মনে হয় এটি আমার জন্য উপকারী হবে।

একজন নতুন আসা হিসেবে আপনি পেস বোলিং ইউনিটের মধ্যে বন্ধন কেমন পেয়েছেন?

নাহিদ: আমরা সবাই ভাই-ভাই। সিনিয়ররা বড় ভাইয়ের মতো আর আমার মতো জুনিয়ররা ছোট ভাইয়ের মতো। আমরা রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ নই সত্যি তবে খুব ঘনিষ্ঠ। যদি কেউ যথেষ্ট ম্যাচ না পায়, অন্যরা তাকে সমর্থন করে এবং তাকে আত্মবিশ্বাস দেয়। আমরা অনেক সময় একসঙ্গে কাটাই এবং একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করি।

আসন্ন বছরে আপনার লক্ষ্য কী, বিপিএল দিয়ে শুরু করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত?

নাহিদ: আমি খুব বেশি দূরের কথা ভাবি না। আমি শুধু ফিট থাকা এবং খেলা উপভোগ করার কথা ভাবি। বিপিএলে আমি আমার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে টাইটেল জিততে সাহায্য করার চেষ্টা করব। এবং অবশ্যই, যদি আমি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাই, তবে আমি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হওয়ার চেষ্টা করব।

Comments

The Daily Star  | English

Tribute to July uprising: Drone show lights up Dhaka's sky

In 12 vivid motifs, the July uprising came alive, tracing the heroism of Abu Sayed and the stirring role of women in the movement

12h ago