পরের বিশ্বকাপে খেলতে 'প্রমাণ করতে হবে' মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অনেকেই ভেবেছিলেন এই আসরের পরই হয়তো বিদায় বলবেন। কিন্তু এমন কিছু হয়নি। তাই আলোচনা এখন পরের বিশ্বকাপেও কি খেলবেন তারা?  

আজ সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুই বোর্ড পরিচালক—নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও ইফতেখার আহমেদ মিঠু। তবে দলের ব্যর্থতা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেই জানান ফাহিম।

জাতীয় দলের পারফরম্যান্স উন্নয়নের জন্য আলাদাভাবে আলোচনা করার জন্য একটি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান এই বিসিবি পরিচালক। এর আগে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে বিসিবি আলোচনায় বসতে পারে বলেও জানান ফাহিম, 'আমরা তাদের (মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ) সঙ্গে বসব এবং তাদের ভাবনা জানব।'

এদিকে আজকের সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাই ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান ফাহিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রয়েছেন কি না।

এই দুই সিনিয়র খেলোয়াড়কে নিয়ে যে বিসিবির অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে তা বোঝা গেলো ফাহিমের বক্তব্যে, 'খুব কঠিন প্রশ্ন (তারা পরিকল্পনায় থাকবেন কি না)। তাদের নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। বয়স ও পারফরম্যান্স বিবেচনায় এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, বরং নির্বাচকদের বিষয়। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। তবে এটা খুব একটা সহজ হবে না।'

কোনো ম্যাচ না জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নেওয়া টাইগারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। অথচ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এই আইসিসি টুর্নামেন্টে অপেক্ষাকৃত তরুণ এই দলে চালক হওয়ার কথা ছিল মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের শট নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন সমর্থক হতে শুরু করে গণমাধ্যম ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই বিসিবি পরিচালক।

Comments

The Daily Star  | English

20 non-banks on BB red list

As of December last year, they disbursed Tk 25,808 crore in loans against collateral worth Tk 6,899 crore, according to the BB report

9h ago