ভারতকে ২৬৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল অস্ট্রেলিয়া

স্টিভ স্মিথ ও আলেক্স কেয়ারি যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন মনে হয়েছিল দুবাইয়ের মন্থর উইকেটেও তিনশ রান পেরিয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া। তবে স্মিথকে ফিরিয়ে রানের গতিতে লাগাম দিতে পারে ভারত। তারপরও অবশ্য লড়াকু পুঁজিই পেয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমি-ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ ২৬৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে দলটি।

যথারীতি এদিনও টস হারেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফলে ফিল্ডিংয়ে নামতে হয় তাদের। অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নামে দলটি, অর্থাৎ আক্রমণে ছিল চারজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। তবে দুবাইয়ে নিয়মিত খেলতে থাকা দলটি অবশ্য নতুন পিচে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে আগের ম্যাচের মতো আধিপত্য দেখাতে পারেনি। তবে, প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়।

শুরুটা করেছেন বরুণ চক্রবর্তী, যিনি নিজের প্রথম বলেই আউট করেন বিপজ্জনক ট্রাভিস হেডকে। লং-অফে ক্যাচ তোলা হেডের ইনিংসে ছিল মিশ্র সাফল্য। প্রথম ১১ বলে মাত্র ১ রান নিলেও পরে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৩৯ রান করেন।

মোহাম্মদ শামির রাউন্ড দ্য উইকেট লাইন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার—কুপার কনোলি ও ট্রাভিস হেড—দুজনকেই সমস্যায় ফেলেছিল। হেড প্রথম বলেই জীবন পান, নিজের বলে ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন শামি। তবে ৯ বল খেলেও কোনো রান না করতে পারা কনোলিকে আউট করেন তিনি।

হেডের আগ্রাসন থামিয়ে দেওয়ার পর ভারত ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করতে শুরু করে। তবে এক প্রান্ত আগলে টিকে থাকেন স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী, প্রথম ওভারেই আকসার প্যাটেলকে লফটেড বাউন্ডারি মেরে বুঝিয়ে দেন তিনি। তবে বেশ কয়েকবার ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন—একবার আকসারের বলে ইনসাইড এজ স্টাম্পে লাগলেও বেল পড়েনি। আবার শামি একটি কঠিন রিটার্ন ক্যাচ ফেলেছেন।

এরমধ্যেই স্মিথ ও লাবুশেনের জুটির বিপক্ষে টানা ৫০ বল বাউন্ডারি আটকাতে সক্ষম হয় ভারত। শেষ পর্যন্ত দারুণ এক লেট কাটের মাধ্যমে চাপ ভাঙেন লাবুশেন। লেফট-আর্ম স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্লগ-সুইপ খেলেও চেষ্টা করেন, তবে জাদেজার এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে ৫৬ রানের জুটি ভাঙে।

তবে ৬৬ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন স্মিথ, যা ছিল আইসিসি ওয়ানডে নকআউট ম্যাচে তার সপ্তম ইনিংসে পঞ্চম ফিফটি। তবে অপর প্রান্তে তাকে খুব বেশি সঙ্গ দিতে পারেনি কেউ। জশ ইংলিস ১১ রানে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হলে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা চাপে পড়ে।

এরপর আলেক্স কেয়ারি মাঠে নামলে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস আবার গতি পায়। তার ও স্মিথের ৫৪ রানের জুটি প্রায় প্রতি বলে বলে রান করে, যেখানে ভারতীয় স্পিনাররা ধাক্কা খান। এই জুটিতে কেয়ারি ছিলেন আগ্রাসী ব্যাটার এবং ইনিংসের শেষভাগে তিনি একাই দলকে টেনে নিয়ে যান।

স্মিথের ইনিংস শেষ হয় ৭৩ রানে, যখন তিনি শামির ফুল টস মিস করে বোল্ড হন। এরপর আকসারকে বাউন্ডারি মারার পরের বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বোল্ড হলে অস্ট্রেলিয়া আরও বিপাকে পড়ে। কিন্তু কেয়ারি দায়িত্ব নিয়ে ৪৮ বলে অর্ধশতক তুলে নেন। তার ব্যাটেই কুলদীপ যাদব কার্যকর হতে পারেননি।

তবে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে শ্রেয়াস আইয়ারের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন কেয়ারি। অষ্টম ব্যাটার হিসেবেযখন আউট হন ইনিংসের শেষ তিন ওভার বাকি। ফলে শেষ দিকে গতি হারায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ ওভারে অলআউট হয়ে ২৬৪ রানে থামে তারা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Early US intel assessment suggests strikes on Iran did not destroy nuclear sites: CNN

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu said Israel had agreed to Trump's ceasefire proposal

2d ago