জোড়া সেঞ্চুরিতে বিশাল পুঁজি নিউজিল্যান্ডের

আইসিসি ইভেন্ট মানেই যেন গর্জে ওঠে রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাট। তার সঙ্গে অভিজ্ঞ কেইন উইলিয়ামসনও খেললেন দায়িত্বশীল ইনিংস। দুইজনই পেলেন তিন অঙ্কের ছোঁয়া। সঙ্গে ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপ্সের ঝড়ো ব্যাটিং। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় পুঁজি তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৬২ রান তুলেছে কিউইরা। অর্থাৎ ৩৬৩ রানের লক্ষ্য পেলো প্রোটিয়ারা।

পরিবর্তনহীন একাদশ নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করে নিউজিল্যান্ড। শুরুতে ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও রবীন্দ্র পরে হাত খোলা শুরু করেন, বিশেষ করে মার্কো ইয়ানসেনকে টার্গেট করেন। বাঁহাতি পেসারের এক ওভারে তিনি তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের আধিপত্য দেখিয়ে দেন। অপর প্রান্তে উইল ইয়াংও শর্ট বল কাজে লাগিয়ে কয়েকটি বাউন্ডারি আদায় করে নেন।

তবে খেলার গতি বিপরীতমুখী হওয়ার আগেই লুঙ্গি এনগিডি এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে ইয়াংকে বিভ্রান্ত করে আউট করেন। তাতে রানের গতিতে কিছুটা লাগাম পড়লেও উইলিয়ামসন ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে খেলেন। সেট হয়ে গেলে কাগিসো রাবাদার বলে ফ্লিক শটে খোলস ভাঙেন। অন্যদিকে, রবীন্দ্র ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। উইয়ান মুল্ডারকে এক ওভারে তিনটি চার মারেন।

কেশব মহারাজ আক্রমণে এসে কিছু সময়ের জন্য বাউন্ডারি আটকাতে পারলেও, পরে রবীন্দ্র ও উইলিয়ামসন দুজনেই তাকে ছক্কা হাঁকিয়ে চাপে ফেলে দেন। এই জুটি নিয়মিত রান তুলতে থাকলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন দুইজনই। এটি ছিল রবীন্দ্রর পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, যার সবকটিই এসেছে আইসিসি টুর্নামেন্টে।

অপরপ্রান্তে উইলিয়ামসনও তার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, বিশেষ করে রাবাদার বিপক্ষে স্কুপ শটটি ছিল নজরকাড়া। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবারও স্লোয়ার বলেই উইকেট নিতে হয়, রবীন্দ্র রাবাদার অফ-কাটারে ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়েন। বিদায় নেন ১০৮ রানে। ভাঙে ১৬৪ রানের জুটি।

উইলিয়ামসন থামেননি, আরও একবার স্কুপ শট খেলে ১৫তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষের দিকে গতি বাড়িয়ে দ্বিতীয় পঞ্চাশ রান তোলেন মাত্র ৩০ বলে। তবে তৃতীয়বার স্কুপ শট খেলতে গিয়ে পুরোপুরি মিসটাইম করে ফুলার ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুল্ডারের বলে। ৯৪ বলে করেন ১০২ রান।

একই ধরনের শট খেলতে গিয়ে টম ল্যাথামও রাবাদার গুড লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান। দুই সেঞ্চুরিয়ান ও ল্যাথাম সাজঘরে ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মিচেলের ব্যাটে বড় শট। প্রথমদিকে বাউন্ডারি খুঁজে পেতে সংগ্রাম করলেও, মিচেল ২৭তম বলে প্রথম চার মারেন। এরপর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে ইয়ানসেনের বলে আরেকটি বাউন্ডারি মারেন এবং এনগিডির এক ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার ম্যাচে ম্যাচ জমিয়ে দেন।

পড়ে গ্লেন ফিলিপস এসে ইয়ানসেনের এক ওভারে চারটি টানা বাউন্ডারি মেরে আক্রমণের ধারা বজায় রাখেন। মিচেল আউট হওয়ার পরও ফিলিপস দারুণ ব্যাট চালিয়ে যান এবং শেষ ছয় ওভারে নিউজিল্যান্ড ৮৩ রান তুলে বড় পুঁজিই গড়ে দলটি। সবমিলিয়ে ডেথ ওভারে আসে ১১০ রান।

Comments

The Daily Star  | English

How Chattogram built its economic legacy

Picture a crowded harbour where the salty seabreeze carries whispers of far-off lands, where merchants of all creed and caste haggle over silks and spices, and where towering ships of all varieties – Chinese junks, Arab dhows, and Portuguese carracks – sway gently in the waters of the Bay of Bengal.

15h ago