ইশানের বিস্ফোরক সেঞ্চুরি, হেডের তাণ্ডব: হায়দরাবাদের ২৮৬ রানের পুঁজি

আইপিএলের গত আসরে বিশাল বিশাল সব পুঁজি গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এবারের মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও সেই একই পথে হাঁটল তারা। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকালেন ইশান কিশান। তাণ্ডব চালিয়ে ফিফটি পেলেন ট্রাভিস হেড। কার্যকর ইনিংস এলো অভিষেক শর্মা, নিতিশ কুমার রেড্ডি ও হেইনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট থেকে।
ব্যাটারদের আগ্রাসনে রোববার ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান তুলেছে হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
রেকর্ডের মালিক হায়দরাবাদই। গত বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করেছিল তারা। প্রতিযোগিতার তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রানও তাদের দখলে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আগের আসরে স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান জমা করেছিল দলটি।
এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে ইশানের ব্যাট থেকে। আইপিএলে এটি তার প্রথম শতক। প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করে তিনে নেমে ১০৬ রান করেন তিনি। ২৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া ব্যাটার তিন অঙ্কে পৌঁছান ৪৫ বলে। শেষমেশ ৪৭ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ১১ চার ও ৬ ছক্কা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার হেড ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করে থামেন ৬৭ রানে। ৩১ বলে তিনি মারেন ৯ চার ও ৩ ছক্কা।
এই দুজন সঙ্গ পান বাকিদের আছ থেকেও। অভিষেক ১১ বলে ২৪, নিতিশ ১৫ বলে ৩০ ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্লাসেন ১৪ বলে ৩৪ রান করেন। ফলে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই তালে এগোয় হায়দরাবাদ। তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি পায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে হেড ও ইশান ৩৯ বলে ৮৫, তৃতীয় উইকেটে ইশান ও নিতিশ ২৯ বলে ৭২ এবং চতুর্থ উইকেটে ইশান ও ক্লাসেন ২৫ বলে ৫৬ রান আনেন।
হায়দরাবাদের দলীয় শতরান পূর্ণ হয় ৬.৪ ওভারে। তাদের পুঁজি দুইশ ছাড়িয়ে যায় ১৪.১ ওভারে। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, স্কোরবোর্ডে তিনশ রান জমা করে ফেলবে তারা। তবে ইনিংসের শেষ ৫ বলে ২ উইকেট পড়ায় ৭ রানের বেশি হয়নি।
রাজস্থানের পক্ষে ৪৪ রানে ৩ উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে। ২ উইকেট নিতে শ্রীলঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকশানা দেন ৫২ রান। সবচেয়ে বড় ঝড়টা যায় ইংলিশ পেসার জফ্রা আর্চারের ওপর দিয়ে। তিনি ৪ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড এটি।
Comments