আইপিএল ২০২৫

এমন অবিশ্বাস্য ফিনিশিংয়ের কল্পনা পুরো বছর জুড়ে করেছেন আশুতোষ

Ashutosh Sharma

২১০ রান তাড়ায় নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিলো দিল্লি ক্যাপিটালস। ৬৫ রানে তারা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট, ফিরে যান ফাফ দু প্লেসি, ট্রিস্টিয়ান স্টাবস, ফ্রেজার ম্যাকগুর্কের মতন ব্যাটাররা। এক পর্যায়ে ১৭১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বড় হারের দিকে থাকা দলকে দুর্দান্ত ইনিংসে টেনে তুলেন আশুতোষ শর্মা, অবিশ্বাস্য ইনিংসে একা হাতে খেলা জিতিয়ে পরে বললেন, এমন ম্যাচের কল্পনা বছর জুড়ে করে আসছেন তিনি।

সোমবার রাতে আইপিএলে এবারের মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় পায় দিল্লি। ৩ বল আগে ম্যাচ জেতে ১ উইকেটে।  ৩১ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় ৬৬ রান করে নায়ক আশুতোষ।

শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিলো ২২ রান। প্রিন্স যাদবের প্রথম বলে চার মেরে দেন কুলদীপ যাদব, পরের বল ডট, এরপরে বলে আশুতোষকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে তিনি হন রানআউট। 

বাকি ৩ বল ছক্কা-চার মিলিয়ে ১২ রান তুলেন আশুতোষ। জেতার জন্য ৬ রান দরকার হলেও তিনি ছিলেন নন স্ট্রাকিং প্রান্তে। এত কিছু করে ম্যাচ ফসকে যাওয়ার শঙ্কা তখন প্রবল। তবে দ্বিতীয় বলে তাকে স্ট্রাইক দিতে পারেন মোহিত শর্মা। তৃতীয় বলেই ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন ডানহাতি ব্যাটার।

ম্যাচ শেষে জানান পুরো আত্মবিশ্বাস ছিলো তার ভেতর, 'আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে তিনি (মোহিত) একটি সিঙ্গেল নিলে আমি ছয় মারতে পারব। আমি আমার ক্ষমতা সম্পর্কে সত্যিই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।'

গত বছর পাঞ্জাব কিংসের হয় আলো কাড়েন আশুতোষ। শশাঙ্ক সিংয়ের সঙ্গে মিলে দেখান ফিনিশিং দক্ষতা। জানান গত বছর থেকেও আরও কীভাবে ভালো করা যায় সেই কাজ করেছেন তিনি,  'গত বছর সত্যিই ভালো ছিল, কিন্তু সেটা আমার জন্য ইতিহাস। আমি সেখান থেকে ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েছি এবং আমার দুর্বলতাগুলো উন্নত করার জন্য নিজের উপর কাজ করেছি। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে যা করেছি, সেটাই প্রয়োগ করছি।'

'আগের মৌসুমে কয়েকবার খেলা শেষ করতে পারিনি। সারা বছর আমি এটি নিয়ে মনোনিবেশ করেছি এবং কল্পনা করেছি। বিশ্বাস ছিল যে আমি শেষ ওভার পর্যন্ত খেললে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। বিপরাজ খুব ভালো খেলেছে। আমি তাকে মারতে বলেছিলাম। সে চাপের মধ্যে খুব শান্ত ছিল। আমি এই পুরস্কারটি আমার মেন্টর শিখর (ধাওয়ান) পা জিকে উৎসর্গ করতে চাই।'

'আমি সত্যিই (আমার ইনিংস) উপভোগ করেছি। আমার কঠোর পরিশ্রম কাজে লেগেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

19h ago