দুই ফাইনালিস্টেরই অপেক্ষা ১৮ বছরের

বিরাট কোহলির জার্সি নম্বর ১৮, আইপিএলের এবার ১৮তম মৌসুম। এই দুই আঠারোকে মিলিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। তবে কি ১৮ বছরের অপেক্ষা ফুরাচ্ছে? কিন্তু যাদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে আরসিবি সেই পাঞ্জাব কিংসেরও যে অপেক্ষা ওই ১৮ বছরেরই। শেষ পর্যন্ত কাদের অপেক্ষা ফুরোবে আর কাদের হবে দীর্ঘতর সেই মীমাংসা হতে যাচ্ছে আজ।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় আইপিএলের ফাইনালে নামছে পাঞ্জাব-আরসিবি। ফাইনালের পথে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাবকেই হারায় কোহলির আরসিবি। সেদিক থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকার কথা তাদের। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আইপিএলের অন্যতম সফল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে যেভাবে হারিয়েছে পাঞ্জাব তাতে তাদের পিছিয়ে রাখার কোন উপায় নেই।
অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের সমন্বয়ে পাঞ্জাবের মূল চালিকাশক্তি তাদের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তিনি খেলেছেন জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইনিংস। মন্ত্রমুগ্ধ ব্যাট করে দলকে ঠান্ডা মাথায় ফাইনালে তুলেছেন তিনি। পুরো আসরে ছয়শোর বেশি রান করেছেন ১৭০+ স্ট্রাইকরেটে!
পাঞ্জাব আইপিএল না জিতলেও শ্রেয়াসের অধিনায়ক হিসেবেই সে অভিজ্ঞতা আছে। গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএল জেতান তিনি। এবার পাঞ্জাবের স্পার্ক এই ব্যাটার। দলটির কোচ রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয় মানসিকতা ছড়িয়ে দিয়েছেন। মজার কথা হচ্ছে অজি বেশ কিছু কার্যকর তারকা থাকার পরও পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইনআপের মূল চালিকা শক্তি ভারতীয়রা। প্রিয়াংশু আর্য, প্রভাসিমরন, শ্রেয়াস নিজে তো আছেনইও শশাঙ্ক সিং, নেহাল ওয়েধারেদের উপরও আস্থা তাদের।
ব্যাটিং অর্ডারে জস ইংলিস আর মার্কাস স্টয়নিস আছেন। স্টয়নিস নামেন নিচের দিকে। ইংলিসকে খেলানো হচ্ছে তিনে।
বেঙ্গালুরুর মূল শক্তি নি:সন্দেহে গ্রেট বিরাট কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অনেক অর্জন, জিতেছেন প্রায় সব ট্রফি। অথচ আইপিএলের ট্রফিই এখনো স্পর্শ করা হয়নি কোহলির। কোহলির জন্যই এবার আইপিএল জিততে চায় আরসিবি। সেই পথে বেশ ভালোভাবেই ছুটছে তারা। দাপট দেখিয়ে সবার আগে পা রেখেছে ফাইনালে। আরসিবির এবারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো একাধিক পারফর্মার, ম্যাচ জেতানো একাধিক তারকা। একেক ম্যাচে জ্বলে উঠছেন একেকজন। এরমধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল জশ হ্যাজেলউড। অজি এই পেসার আছেন জীবনের অন্যতম সেরা ছন্দে। ফাইনালেও তার স্পেলের দিকে আশায় চোখ রাখবে আরিসিবি সমর্থকরা।
অধিনায়ক রজত পাতিদার হয়ত শ্রেয়াসের উচ্চতার সঙ্গে মাননসই নন, তবে তার পেছনে কোহলির মতন চরিত্র থাকলে ওটা বাঁধা নয়। কোহলি নামেই তো কেবল অধিনায়ক নন, চলকে চালাতে তার ভূমিকা দৃশ্যমাণই।
ফাইনালের দিন আহমেদাবাদে আছে বৃষ্টির শঙ্কা। কাটঅফ টাইমের বাইরে সেজন্য রাখা আছে বাড়তি ১২০ মিনিট। তাও খেলা না হলে আছে রিজার্ভ ডে।
Comments