‘কাদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি দেশের পতাকা?’, ক্ষুব্ধ ইমরুলের প্রশ্ন

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে শাইনপুকুরের দুই ব্যাটারের আউটের ধরণ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিশেষ করে মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির নামের ব্যাটার সুযোগ থাকার পরও ব্যাট না নামিয়ে আউট হয়েছেন। এই ফুটেজ ছড়িয়ে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। ক্রিকেটারদের অনেকেই এটাকে বলছেন লজ্জাজনক। অন্য আরেকটি দলকে সুপার সিক্সে উঠতে না দিতে শাইনপুকুর ইচ্ছে করে ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার এবার খেলছেন অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে। তার প্রশ্ন কাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের পতাকা?

বুধবার মিরপুরে জয়ের জন্য শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের তখন দরকার ছিল ৪২ বলে ৭ রান। হাতে ছিলো একটি উইকেটই। স্ট্রাইকে থাকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে আউট হন অদ্ভুত কায়দায়। ডাউন দ্য উইকেটে যাওয়ার পর ক্রিজের ভেতরে ব্যাট ঢোকানোর দুটি সুযোগ থাকলেও বিস্ময়করভাবে তা নেননি তিনি। খালি চোখে মনে হয়েছে ইচ্ছে করেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এই ঘটনায় ফেসবুকে তীব্র ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমরুল। তিনি এই ম্যাচ আরও একবার আয়োজনের দাবিও তুলেছেন,  'আজকে আমি হৃদয় থেকে ক্ষোভ নিয়ে কিছু কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। মিডিয়া, ক্রিকেটার, সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার—সবাই আজ একটা ঘটনায় স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ। কারণটা খুব পরিষ্কার—ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ যে কাজটা হয়েছে, সেটা শুধু লজ্জাজনক না, এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে। একটা দলকে সুপার লিগে উঠতে না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আরেক মাঠে দুই দল নিজেদের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে! এটা কী ধরনের নাটক? আজকের সেই ম্যাচের ভিডিও প্রমাণসহ নিচে রয়েছে—আপনারা নিজেরাই দেখুন, বিচার করুন।'

'এই যদি হয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা, তাহলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে কারা খেলবে? কাদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি দেশের পতাকা? যারা মাঠে নামার আগেই ম্যাচের ফয়সালা করে নেয়, তাদের দিয়ে কী দেশের প্রতিনিধিত্ব হয়? লজ্জা! যাদের ব্যবহার করে এসব নোংরা খেলা খেলানো হচ্ছে, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, কারণ ওরা আজ নিজেরাই নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে।'

'আমরা যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্নকে বাস্তব করতে দিনরাত খেটে যাচ্ছি—আর কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ নিজেদের স্বার্থে গোটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।'

'বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে উন্নতির, কিন্তু এইসব ঘটনাগুলো সেই চেষ্টাকেও মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে।

আমি জোরালোভাবে দাবি জানাই—এদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এই কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত আজকের ম্যাচ বাতিল করে পুনরায় রিশিডিউল করা উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এভাবে শেষ হতে দেওয়া যায় না। আজকে চুপ থাকলে, কাল হয়তো আর কিছু বলার সুযোগ থাকবে না।'

শাইনপুকুরের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে সুপার সিক্স নিশ্চিত হয়ে গেছে গুলশানের। এদিকে লিগ টেবিলে পাঁচে থাকা অগ্রণী ব্যাংকের সুপার সিক্স এখনো অনিশ্চিত। তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে শেষ ম্যাচের উপর।

Comments

The Daily Star  | English

Pahela Baishakh sales better this year

In previous years, Baishakh celebrations and the purchase of new dresses accounted for an estimated one-fourth of annual sales by local fashion outlets.

6h ago