‘প্রিয় ক্রিকেট’ অবশেষে নায়ারকে দিল সুযোগ 

Karun Nair

'প্রিয় ক্রিকেট, আমাকে আর একটি সুযোগ দাও।'  তিন বছর আগে এক্স প্লাটফর্মে এমন একটি পোস্ট করেছিলেন করুন নায়ার। ঘরোয়া অন্যান্য আসরে এরপর নিজেকে ফের প্রমাণ করতে মরিয়ে হয়ে উঠেন তিনি। তারও বেশ কিছু দিন পর সত্যিই এলো সুযোগ। ২০২২ সালের আকুতি কাজে লাগল ২০২৫ সালে গিয়ে। এমন সুযোগ দুর্দান্তভাবে কাজে লাগালেন তিনি। যেন জানালেন তিনি এতদিন ছিলেন উপেক্ষিত নাম।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২০৬ রান তাড়ায় ওয়ান ডাউনে নেমেছিলেন নায়ার। মাত্র ৪০ বলে ১২ চার, ৫ ছক্কায় তিনি করেন ৮৯ রান। তার দল দিল্লি ক্যাপিটালস যদিও পরে ম্যাচটা হেরে যায় ১২ রানে। তবে ৩৩ পেরুনো ঠিকই জানিয়ে দিতে পেরেছেন, তিনি এখনো ফুরিয়া যাওয়া নাম নন।

২০৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিল্লি তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার জেক ফ্রেজার-ম্যাকগুর্ককে হারায় এবং ৩৩ বছর বয়সী নায়ার 'ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার' হিসেবে মাঠে নামেন।

দারুণ দুই চারে শুরুর পর বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে এক ওভারে দুটি ছক্কা মারেন, ৫০ স্পর্শ করেন ২২ বলে। আইপিএলে ফিফটি করার স্বাদ পান সাত বছর পর। খেলারই যে সুযোগ মিলছিল না তার।

ম্যাচ শেষে এই ডানহাতি বলেন, 'আমি আত্মবিশ্বাস বোধ করছিলাম। আমি জানতাম সুযোগ পেলে আইপিএলে খেলার জন্য আমি ভালোভাবে প্রস্তুত।'

নিলাম থেকে দিল্লিতে দল পাওয়ার পর একাদশে সুযোগ মিলছিলো। সমন্বয়ের কারণেই বাইরে বসে থাকতে হচ্ছিলো। সেটা মেনে নিজেকে প্রস্তুত রাখছিলেন তিনি, '১১ বা ১২ জন খেলোয়াড় নির্বাচন করা দলের জন্য সবসময় কঠিন সিদ্ধান্ত, এবং আমি সবসময় সেটিকে সম্মান করি।'

'সত্যি বলতে, আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমি আগে (আইপিএলে) খেলেছি এবং আমি জানি এটি কেমন হবে।'

ভারতের হয়ে কর্নাটকের ব্যাটার ছয়টি টেস্ট এবং দুটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ভীষণ দুর্ভাগাদের একন। কারণ ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরের টেস্টেই বাদ পড়তে হয় তাকে। কারণ তখন দলের নিয়মিত ব্যাটার ছিলেন আজিঙ্কা রাহানে। এরপর আর সুযোগই মেলেনি।

এরপর আইপিএলে অবশ্য কয়েকটি দলে খেলেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারছিলেন না। ২০২২ সালের পর আর আইপিএলেও সুযোগ পাননি। হতাশায় বাইরে বসেও সুযোগের জন্য আকুতি ছিলো তার।

এই সময়ে ঘরোয়া অন্য আসরে রানের বন্যা বইয়ে দেন। বাধ্য করেন তাকে আবার বিবেচনায় নেওয়ার। আইপিএল মঞ্চে নিজের ঝলক দেখিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার দাবিটাও জানাতে পারেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
political parties support election drive

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

17h ago