জ্বলে উঠলেন জ্যোতি, বিশ্বকাপ টিকিটের কাছাকাছি বাংলাদেশ

ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আরও একবার জ্বলে উঠেছে তার ব্যাট। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও করেছেন দুর্দান্ত ব্যাটিং। তাতে দারুণ এক জয়ে নারী বিশ্বকাপের টিকিটের অনেক কাছাকাছি চলে এসেছেন বাঘিনীরা।

মঙ্গলবার লাহোরে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৬ রান করে তারা। জবাবে ৫০ ওভার পুরো ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪২ রানের বেশি করতে পারেনি স্কটিশরা।

এই জয়ের ফলে টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজিত থাকা বাংলাদেশের নারী দল স্বাগতিক পাকিস্তানের সঙ্গে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে বিশ্বকাপের জন্য আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

বাংলাদেশের এই জয়ের মূল নায়িকাই ছিলেন জ্যোতি। ৫৯ বলে ঝড়ো ৮৩ রানের ইনিংসে ভর করেই নিজেদের রেকর্ড পুঁজি পায় বাংলাদেশ। তাতেই থাইল্যান্ডের বিপক্ষে গত সপ্তাহে ৩ উইকেটে করা ২৭১ রানের পুঁজিকে ছাড়িয়ে যায় দলটি।

যদিও উইকেট হারিয়ে শুরুটা কিছুটা শঙ্কার ছিল। ওপেনার ইসমা তানজিম ২৯ বলে ১৪ রান করে ফিরে গেলে চাপ তৈরি হয়। তবে এরপর ফারজানা হক (৮৪ বলে ৫৭ রান) ও শারমিন আখতার (৭৯ বলে ৫৭ রান) দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটি ১০৩ রান যোগ করলে দলের ভিত মজবুত হয়।

এরপর বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার। ৪০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে স্কটল্যান্ডকে ২৪২-৯ রানে থামিয়ে দেন তিনি। এছাড়া জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা ২ উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৮০ বলে ১০১ রানের ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান জোতি। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩৬ রানের রেকর্ড রান তাড়ার ম্যাচে করেন ৬৮ বলে ৫১ রান। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসসহ এটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টানা তিনটি অর্ধশতক হাঁকানোর একমাত্র ঘটনা তার।

বর্তমানে ২১৭.৫০ গড় এবং ১১৩.৫২ স্ট্রাইক রেট নিয়ে জোতি বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২৩৫ রান নিয়ে তিনি ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন। উল্লেখ্য, ১০০ রান বা তার বেশি করা ব্যাটারদের মধ্যে জ্যোতির স্ট্রাইক রেটও সর্বোচ্চ।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus joins stakeholders’ dialogue on Rohingya crisis in Cox’s Bazar

The three-day conference began with the aim of engaging global stakeholders to find solutions to the prolonged Rohingya crisis

1h ago