লিড নিল জিম্বাবুয়ে, দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট নিল বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ এত অল্প রান করেছে যে লিড নেওয়া ছিলো ভীষণ কঠিন, সেটা হয়ওনি। দুই ফিফটিতে অনুমিতভাবে লিড নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ ফেলতে পেরেছে দুই উইকেট, সফরকারী দল সেখানে ৮০ রান যোগ করে সেশনে দেখিয়েছে দাপট।
৬ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতিতে গেছে জিম্বাবুয়ে। সিলেট টেস্টে সফরকারী দলের লিড ২২ রানের। কিপার ব্যাটার নিয়াশা মায়াভু ৪৭ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গী দুই রান করা ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। চা-বিরতির খানিক আগে ৫৯ করে শন উইলিয়ামস ফিরে যাওয়ায় বাংলাদেশ দলে অবশ্য ফিরেছে কিছুটা স্বস্তি।
৪ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে লাঞ্চের পর নেমে বেশ ভালোভাবেই এগুতে থাকেন উইলিয়ামস। ওয়েসলি মাধভেরেকে নিয়ে বাংলাদেশের চিন্তা বাড়াচ্ছিলেন তিনি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন মূল্যবান ৪৮ রান। এই জুটি খেলছিল সাবলীলভাবে, খুব একটা পরাস্ত হতেও দেখা যাচ্ছিলো না তাদের।
পেসার খালেদ আহমেদ তার নতুন স্পেলে ফিরে ভাঙেন জুটি। প্রথম সেশনে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও হতাশ হওয়া ডানহাতি পেসার এবার সাফল্য পান মাধভেরের দুর্ভাগ্যে। খালেদের বল থার্ড ম্যানে পাঠাতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন মাধভেরে।
ফিফটি পেরিয়ে দলের লিড এনে নিয়াশা মায়াভুকে নিয়ে এরপর জুটির চেষ্টায় ছিলেন উইলিয়ামস। লিড নেয়ার পর পরই ফিরে যান তিনি। বলা ভালো অনেকটা নিজের উইকেট ছুঁড়ে দেন এই ব্যাটার। মেহেদী হাসান মিরাজকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা পেটাতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করে দেন সহজ ক্যাচ। ১০৮ বলে থামেন ৫৯ করে।
এই সেশনে বাংলাদেশ আরও দাপট দেখাতে পারত যদি তাইজুল ইসলাম এতটা নিষ্প্রভ না থাকতেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার ৬ ওভার বল করে দেন ৩৬ রান। তার বোলিংয়ে আলগা হয় চাপ।
স্পিনারদের নির্লিপ্ত থাকার দিনে পেসারদের উপরই গেছে ধকল। নাহিদ রানা তিন স্পেল মিলিয়ে করেছেন ১২ ওভার। মোট ১৬ ওভার বল করে ফেলেছেন তিনি, ১৭ ওভার বল করেছেন হাসান মাহমুদ। খালেদ আহমেদও বল করেছেন ১৩ ওভার।
Comments