‘অনেক বেশি খারাপ লাগছে এই ম্যাচ হেরে, জিনিসটা এরকম না’

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টেস্টে চার বছরের বেশি সময় ও টানা ১০ ম্যাচ ধরে জয়হীন জিম্বাবুয়ে অবশেষে গেরো খুলল। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে জিতল তারা। সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের কাছে এমন হার সত্ত্বেও 'অনেক বেশি' খারাপ লাগছে না নাজমুল হোসেন শান্তর। যে কোনো ম্যাচ হারলে যেমন বেদনা হয়, তেমনটাই হচ্ছে টাইগার অধিনায়কের।

বৃষ্টির হানা ও আলোকস্বল্পতার পরও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চারদিনের মধ্যে টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। বুধবার খেলার চতুর্থ দিনে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে তাদেরকে ৩ উইকেটে পরাস্ত করেছে জিম্বাবুয়ে। ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো এই সংস্করণে জয়ের মধুর স্বাদ পেয়েছে দলটি। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের আগের জয়টি ছিল ২০১৮ সালের নভেম্বরে। সিলেটের মাঠেই ১৫১ রানে জিতেছিল তারা।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

হারের পর সংবাদ সম্মেলনে হতাশা গোপন করেননি শান্ত। তবে প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দুর্বল হলেও যেহেতু আন্তর্জাতিক ম্যাচ, তাই 'অতিরিক্ত আপসেট' (বিপর্যস্ত) হতে নারাজ তিনি, 'অবশ্যই, হতাশাজনক। আমার মনে হয়, পুরো ম্যাচটা যদি আমি বিশ্লেষণ করি, তাহলে আমরা খুব একটা ভালো ক্রিকেট খেলিনি এবং যার কারণে ম্যাচ হেরেছি। (জিম্বাবুয়ের কাছে হারায়) অতিরিক্ত বিপর্যস্ত বলব না। কারণ, এটাও একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল। বিপর্যস্ত এই কারণে যে, আমরা ভালো খেলতে পারিনি।'

এই ম্যাচের আগে জিম্বাবুয়ের গোটা দল মিলে অভিজ্ঞতা ছিল ৮১ টেস্টের। অথচ পুরো ম্যাচে তারাই ছিল চালকের আসনে। নিজেদের মাঠে নামেভারে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ শেষ পর্যায়ে যা কিছুটা লড়াই চালায়, তা মূলত মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিংয়ের কল্যাণে। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়বারেও ৫ উইকেটসহ মোট ১০ উইকেট নিলেও তা যথেষ্ট হয়নি। ১৭৪ রানের লক্ষ্য ৭ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছে জিম্বাবুয়ে। টেস্টে এটাই তাদের সবচেয়ে বেশি রানের পেছনে ছুটে জেতার রেকর্ড।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আরেকটি প্রশ্নের জবাবে নিজের আগের ভাবনায় অটল থেকে বাংলাদেশের দলনেতা বলেন, '(কষ্ট) বেশি বলব না। যে কোনো ম্যাচ হারলেই খারাপ লাগে। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা খেলতে পারিনি, এটা আমি বিশ্বাস করি। আমার মনে হয়, এর চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলার মতো দল আমরা। এজন্যই হতাশ। অনেক বেশি খারাপ লাগছে এই ম্যাচ হেরে, জিনিসটা এরকম না। ম্যাচ হারলে সাধারণত যেরকম খারাপ লাগে, সেরকমই লাগছে।'

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের চলমান সিরিজ সরাসরি দেখাচ্ছে কেবল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি)। কারণ, কোনো বেসরকারি চ্যানেলই সম্প্রচার স্বত্ব কিনতে রাজী হয়নি। এই পরিস্থিতির মোড় বদলানো এবারের হারের পর আরও শঙ্কায়। তবে বিষয়টি নেই শান্তর ভাবনায়, 'আমাদের কাজ হলো ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করা, দলকে জেতানো। আমাদের খেলা কে দেখাবে বা দেখাবে না, সেটা নিয়ে বেশি একটা চিন্তা করি না। আমাদের কাজ নিয়মিত ভালো খেলা, যেটা আমরা পারছি না।'

Comments

The Daily Star  | English

Cashless society still a distant dream

Bangladesh’s goal of a cashless future is colliding with failed projects, user mistrust, and an economy that thrives on cash

15h ago