একশোর বেশি লিড নিতে চায় বাংলাদেশ, নিজেদের লড়াইয়ে দেখছে জিম্বাবুয়ে

দিনের একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো অন্তত চারশো ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের রান। দুই ওপেনারের শতরানের জুটি ভাঙার পরও অনেকটা সময় পুরোপুরি দাপট ছিলো স্বাগতিকদের। তবে শেষ সেশনে আচমকা কিছু উইকেট হারিয়ে বিশাল পুঁজির স্বপ্ন এখন এলেমেলো। বাংলাদেশের লক্ষ্য আপাতত লিডটাকে একশোর উপরে নিয়ে যাওয়া। সফরকারী জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকলেও নিজেদের পুরোপুরি লড়াইয়েই দেখছে।
প্রথম দিনের ২২৭ রানের সঙ্গে আর কোন রান যোগ না করেই থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এরপর সাদমান ইসলাম-এনামুল হক বিজয় মিলে আনেন দারুণ শুরু। তাদের ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরও মুমিনুল হককে নিয়েও সাদমানের ৭৬ রানের আরেক জুটি গড়ে উঠে। সাদমান সেঞ্চুরি করে বিদায় নিলেও নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমের জুটি লিড নিয়ে এগুচ্ছিল বাংলাদেশকে।
এই দুজনের ৬৫ রানের জুটি আলগা হতেই যেন অদ্ভুতুড়ে অবস্থা। ৩ উইকেটে ২৫৯ থেকে ৭ উইকেটে ২৭৯ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশের ইনিংস। হাতে ৩ উইকেট রেখে ২৯১ রান তুলে দিন শেষ করা বাংলাদেশ এগিয়ে ৬৪ রানে।
সেঞ্চুরিয়ান সাদমান দিনের খেলার পর জানান এই জায়গা থেকে অন্তত একশো রানের লিড নিতে চাইবেন তারা, 'আশা করি আমাদের যে মিরাজ আর তাইজুল ভাই আছে, অবশ্যই যদি ওরা ভালো একটা জুটি দেয় যাতে ১০০+ হয় আমাদের জন্য ভালো হবে।'
খুব ভালো অবস্থান থেকে ধস নামায় একটু আক্ষেপে পুড়ছেন সাদমান। তবে টেল এন্ডারদের নিয়ে মিরাজ গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান যোগ করতে পারবেন বলে বিশ্বাস তার, 'আমরা একটা ভালো পজিশনে ছিলাম, কিন্তু ওখান থেকে হয়তো আমরা একটু পিছিয়ে আছি। তাও আলহামদুলিল্লাহ যা হয়েছে। কাল ব্যাটসম্যান মিরাজ আছে। আশা করি ভালো জুটি হলে আমরা খুব এগিয়ে থাকব।'
৬৪ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে ম্যাচে আরও ব্যাকফুটে থাকতে পারত। শেষ সেশনে একাধিক উইকেট নেওয়ায় ম্যাচে কিছুটা ফিরেছে সফরকারীরা। এই ফেরার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন অভিষিক্ত স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেজা। ৪৪ রানে ৩ উইকেট নেওয়া স্পিনার মনে করেন বাংলাদেশ ভালো খেললেও তারা এখনো ম্যাচে আছেন, 'বাংলাদেশ খুব ভালো খেলছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু আমরা খুব ভালোভাবে ম্যাচে আছি। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব এবং কাল খেলায় নিয়ন্ত্রণ করব।'
Comments