৩১টি ছক্কা হজম করে রশিদের বিব্রতকর রেকর্ড

এবারের আইপিএল রশিদ খানের কাটছে দুঃস্বপ্নের মতো। ভীতি তৈরির বদলে গুজরাট টাইটান্সের আফগান লেগ স্পিনার পরিণত হয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের সহজতম শিকারে। সেই ধারাবাহিকতায় বিব্রতকর একটি রেকর্ডে ভাগ বসালেন তিনি।
ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের এবারের আসরে ১৪ ম্যাচে রশিদ হজম করেছেন মোট ৩১টি ছক্কা। আইপিএলের এক আসরে এর চেয়ে বেশি ছক্কা খাননি আর কেউ। ২০২২ সালের আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৫ ম্যাচে সমান সংখ্যক ছক্কা হজম করেছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতীয় পেসার এখন গুজরাটে রশিদের সতীর্থ।
রোববার আহমেদাবাদে আইপিএলের ম্যাচে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরেছে গুজরাট। ২৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় লড়াই জমাতে পারেনি দলটি। ৯ বল বাকি থাকতে তারা গুটিয়ে গেছে ১৪৭ রানে। গুজরাটের হারের দিনে রশিদও আরেকবার হতাশ করেছেন। ১ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪২ রান।
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে তিনটি ছক্কা হজম করেছেন রশিদ। দুটি হাঁকিয়েছেন কিউই ব্যাটার ডেভন কনওয়ে, একটি মেরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ফলে আইপিএলের চলমান ২০২৫ সালের আসরে ২৬ বছর বয়সী তারকার খাওয়া ছক্কার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১টি।
১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে আছে গুজরাট। লিগ পর্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত শীর্ষ দুইয়ে থাকতে পারলে প্লে-অফে অন্তত আরও দুটি ম্যাচ খেলবে তারা। ফলে এক আসরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা খাওয়ার অপ্রত্যাশিত রেকর্ডটি রশিদের একার হয়ে যাওয়ার জোরাল সম্ভাবনা রয়েছে।
এই আসরে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯টি উইকেট শিকার করতে পেরেছেন রশিদ। সামর্থ্যের ছাপ রাখতে ব্যর্থ হয়ে বেশিরভাগ ম্যাচেই তিনি থেকেছেন নিজের ছায়া হয়ে। তার বোলিং গড় (৫৩.৬৬) ও ওভারপ্রতি রান দেওয়ার গড় (৯.৪৭) দুটিই ভীষণ করুণ।
সর্বোচ্চ ছক্কা হজমের তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে অবস্থান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও যুজবেন্দ্র চাহালের। ২০২২ সালের আসরে বেঙ্গালুরুর হয়ে লঙ্কান স্পিনার হাসারাঙ্গা ও ২০২৪ সালের আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে চাহাল সমান ৩০টি ছক্কা খান। তিনে থাকা চেন্নাইয়ের ক্যারিবিয়ান পেসার ডোয়াইন ব্রাভো ২০১৮ সালের আসরে ২৯টি ছক্কা হজম করেন।
Comments