মিরাজের অসুস্থতা নিয়ে সিমন্স, ‘এটা মাথাব্যথা, তবে মাথাব্যথাটা মধুর’

প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন টিম হোটেলে আটকে ছিল বাংলাদেশ দল। পরিবেশের উন্নতি হওয়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য আজ রোববার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে তারা। তবে সেখানে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও টাইগারদের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বিষয়টিকে দেখছেন মধুর সমস্যা হিসেবে।

আগামী ১৭ জুন গলে গড়াবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে (২০২৫-২৭) এটি বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। এর আগে অবশ্য কিছুটা চিন্তার ভাঁজ রয়েছে সফরকারীদের কপালে। কারণ, জ্বরে ভুগছেন মিরাজ।

তবে বাংলাদেশের অনুশীলনের পর সিমন্স গণমাধ্যমকে জানান, আগের চেয়ে মিরাজের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, 'আজ সকালের সবশেষ খবর হলো, গত কয়েক দিনের তুলনায় সে অনেক ভালো আছে। ওষুধ খাওয়ার পর বিকালে সে কেমন বোধ করে তা আমরা লক্ষ করব। আশা করি, সে আগামীকাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য তৈরি হয়ে যাবে।'

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মিরাজ শেষমেশ খেলতে না পারলে সেটা অন্য কারও জন্য সুযোগ হবে বলে মনে করেন তিনি, 'হ্যাঁ, এটা তো নিশ্চয়ই কিছুটা শঙ্কার ব্যাপার। তবে একজনের সমস্যা আরেকজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। আমি জানি, খেলোয়াড়দের সবাই চায় সে সুস্থ হয়ে উঠুক। তবে তারা এটাও জানে যে, যদি সে না খেলে, তাহলে অন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। এটা কিছুটা মাথাব্যথার ব্যাপার, তবে মাথাব্যথাটা মধুর।'

২০১৩ সালে গলেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তাকে নিয়ে বাংলাদেশের কোচের ভাষ্য, 'তার কাছে আমার প্রত্যাশা হলো, সে যা করছে তা যেন উপভোগ করে। শেষবার যখন আমি শ্রীলঙ্কায় তার খেলা দেখেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল, সে তার খেলাটা উপভোগ করছে এবং আমি তার কাছ থেকে কেবল এটুকুই চাই। তার কাছে অন্য যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বাড়তি কোনো প্রত্যাশা নেই। তাই আমি চাই, সে খেলাটা উপভোগ করুক।'

সম্প্রতি নাজমুল হোসেন শান্তকে আচমকা সরিয়ে বিসিবি মিরাজকে ওয়ানডে অধিনায়ক করেছে। সিমন্সের মতে, এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে না শান্তর ওপর, 'আমি অবশ্যই মনে করি না যে, এটা তার ওপর প্রভাব ফেলবে। যখন সে খেলতে শুরু করে, তখন সে শুধু খেলার দিকেই মনযোগী থাকে। বাকি সবকিছুর দায়িত্ব তখন থাকে আমাদের ওপর। আমার মনে হয় না, এটা তাকে আক্রান্ত করবে।'

গলের পিচ নিয়ে তিনি দেন সেই চিরচেনা জবাব, 'উইকেট খুব ভালো দেখাচ্ছে। আগামীকাল আরেকবার রোল করা ও ঘাস ছাঁটা হলে দেখা যাবে আসলে আমরা কেমন উইকেট পাচ্ছি। এখানে অবশ্য সব সময়ই বল টার্ন হয়। এখন প্রশ্নটা হলো, কতটুকু টার্ন হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

8h ago