বাংলাদেশকে সহজেই হারাল শ্রীলঙ্কা

পাল্লেকেলের ব্যাটিং স্বর্গে ১৫৫ রানের লক্ষ্য বেশ ছোটই বটে। তবে টাইগার বোলারদের সাদামাটা বোলিংয়ে লঙ্কান ওপেনারদের দানবীয় ব্যাটিংয়ে সেই লক্ষ্য হয়ে গেলো মামুলী। এরপর দেশে শুনে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো তারা।

বৃহস্পতিবার পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৬ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিক দলটি। 

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার কুসল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। সাইফউদ্দিনের করা প্রথম ওভারে তিনটি চারের সাহায্যে ১৪ রান নেন নিসাঙ্কা। পরের ওভারে পার্টিতে যোগ দেন কুসল। তাসকিনের করা সে ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কায় নেন ১৬ রান। পরের ওভারে আবার নিসাঙ্কা। এবার তানজিম হাসান সাকিবের শেষ তিন বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় নেন ১৬।

এরপর চতুর্থ তাসকিন বোলিংয়ে এসে কোথায় বল করবেন তা যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। প্রথম তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন কুসল। তাতে চার ওভারেই আসে ৬৪ রান। দলীয় ফিফটি পূরণ হয় মাত্র ১৯ বলে।

এরপর স্পিনার আনেন অধিনায়ক লিটন দাস। মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে তুলে দেন বল। প্রথম তিন বলে দুটি ছক্কায় ১৪ রান তুলে নেন নিসাঙ্কা। তবে পরের বলে আরও একটি ছক্কা মারতে গিয়ে তুলে দেন আকাশে। মিডঅনে ধরা পড়েন রিশাদ হোসেনের হাতে। ভাঙে ২৮ বলের ৭৮ রানের ওপেনিং জুটি। ১৬ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪২ রান করেন নিসাঙ্কা।

নিসাঙ্কার বিদায়ে থামে লঙ্কানদের দানবীয় ব্যাটিং।  দেখে শুনে খেলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন দুই কুসল। তবে এরমধ্যেই পাওয়ার প্লেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ফেলে দলটি। ৮৩ রান তোলে তারা। এর আগে ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে ৭৫ রান তুলেছিল দলটি।

তবে মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখেন দুই ব্যাটার। ৪৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। কুসল পেরেরাকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ। ২৫ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪ রান করেন পেরেরা। পরে আভিস্কা ফার্নান্দোকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন কুসল মেন্ডিস। দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে সাইফউদ্দিনের বলে বিদায় নেন এই ব্যাটার। ৫১ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। বাকি কাজ অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে শেষ করেন আভিস্কা। 

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন গড়েন ৪৬ রানের জুটি। কিন্তু এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ব্যাটার সেট হলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ইমন খেলেন সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন মহেশ থিকসানার বলে।

মোহাম্মদ নাঈম শেখ কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। যদিও তার ইনিংস টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। ২৯ বলে খেলেন অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। শেষ দিকে ৫ বলে ২টি ছক্কায় ১৪ রানের ক্যামিও খেলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি।

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

6h ago