বিজয়-মুমিনুলকে হারিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ

লাঞ্চের আগে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন টাইগাররা। তবে লাঞ্চের পরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মাত্র ২০ রানের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার শেষ চার উইকেট তুলে লিড নেয় তারা। এবার ব্যাটিংয়ে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছে সফরকারীরা।  

গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগে ২ উইকেটে ৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। ফলে লিড হয়েছে ৭৫ রানের। এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস ৪৮৫ রানে গিয়ে দিয়ে ১০ রানের লিড নেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ভুগেছেন এনামুল হক বিজয়। অথচ এই পিচে বড় বড় স্কোর করেছেন অনেক ব্যাটারই। কোনো বোলারকেই স্বস্তি নিয়ে খেলতে পারছিলেন না। বেশ কয়েকবার তো আনাড়ির মতো ব্যাট চালিয়ে বেঁচে গিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে জোরালো আবেদনও ছিল বেশ কয়েকটি।

শেষ পর্যন্ত বিজয়ের অস্বস্তির ইতি টেনে তাকে ছাঁটাই করেছেন প্রভাত জয়সুরিয়া। তার অফ স্টাম্পের বাইরে ডেলিভারি কিছুটা লাফিয়ে উঠে বেরিয়ে যাচ্ছিল। জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বিজয়। ২০ বল খেলে করেছেন ৪ রান। প্রথম ইনিংসে ফিরেছিলেন খালি হাতে।

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও সেট হয়ে টিকতে পারলেন না মুমিনুল হক। চা-বিরতির ঠিক আগে তাকে হারায় বাংলাদেশ। থারিন্দু রাত্নায়াকের বলে সুইপ করতে গেলে ব‍্যাটের কানায় লেগে হেলমেট ছুঁয়ে উপরে সহজ ক্যাচ লুফে নেন লাহিরু উদারা। ভাঙে ৩৬ রানের জুটি। ৪০ বলে ১টি ছক্কায় ১৪ রান করেন মুমিনুল।

এরপর মাঠে নামেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। বাকি সময় ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন তারা। ৫ বলে ২ রান করে ব্যাটিং করছেন অধিনায়ক। আর সাদমান ব্যাটিং করছেন ৪৪ রানে।

এর আগে লাঞ্চের পর শুরুতেই বাংলাদেশকে আনন্দে ভাসান হাসান মাহমুদ। মিলান রত্নায়াকেকে বোল্ড করে দেন এই পেসার। তার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল খেলতে গেলে ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্প ভাঙে তার। আউট হওয়ার আগে ৩৯ রান করেন মিলান।

এরপর কামিন্দুকে তুলে লঙ্কান শিবিরে বড় ধাক্কা দেন নাঈম হাসান। ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ভোগানো এই ব্যাটার এদিন মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। তবে নাঈমের স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ডিফেন্স করতে গেলে গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৭ রান করেন এই ব্যাটার।

অভিষিক্ত থারিন্দু রত্নায়েকেকে খালি হাতে ফেরান নাঈম। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। তবে আসিথা ফার্নান্ডোকে নিয়ে প্রভাত জয়সুরিয়া অবশ্য আশা দেখাচ্ছিলেন লঙ্কানদের। তবে নাঈমের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আসিথা বোল্ড হয়ে গেলে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। আসিথা করেন ৪ রান। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন জয়সুরিয়া।

বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন নাঈম। তুলে নিয়েছেন ফাইফার। তিনটি উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল হক একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

1h ago