শেষ ম্যাচে আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তাই কিছুটা আয়েশি ছিল টাইগাররা। একাদশে আনে পাঁচ পরিবর্তন। এতো পরিবর্তনের দলটি সে অর্থে লড়াই-ই করতে পারেনি। বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আট ওভারেই সাত উইকেট হারিয়ে কার্যত হার মানে লিটন দাসের দল। এরপর বাকি থাকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা। 

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭৪ রানে হারায় পাকিস্তান। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে তারা। জবাবে ২০ বল বাকি থাকতে ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ফলে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পেরেছে সফরকারীরা।

আগের দুই ম্যাচের তুলনায় মিরপুরের উইকেট এদিন ছিল বেশ ব্যাটিং সহায়ক। সেখানে টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান লিটন। বোলাররা আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ধারহীন বোলিংয়ে শুরু থেকেই বেশ সাবলীল ব্যাটিং করে বড় লক্ষ্যই দাঁড় করায় পাকিস্তান।

অন্যদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ঠিক উল্টো চিত্র। শুরু থেকেই বিপর্যয়। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ইনিংসের এক তৃতীয়াংশ না যেতেই কার্যত হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। প্রথম সাত ব্যাটারদের মধ্যে কেবল মোহাম্মদ নাঈম শেখই দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন। তাও কাটায় কাটায় ১০ রান।

অষ্টম উইকেটে জুটিতে এসে ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি পায় বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিন ও নাসুমের জুটিতে ২৬ বলে আসে ২৪ রান। এরপর অবশ্য তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে নিয়ে ১৬ ও ২৩ রানের আরও দুটি জুটি গড়েন সাইফ। তবে তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।

শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ৩৫ রানে অপরাজিত করেন ৩৫ রান। ৩৪ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় এই রান করেন তিনি। তিনি ছাড়া দুই অঙ্ক ওই নাঈম শেখের। পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভার বল করে ১৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন সালমান মির্জা। ২টি করে শিকার ধরেন ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্যই দাঁড় করায় পাকিস্তান। ফখর জামানের জায়গায় প্রথমবারের মতো এই সিরিজে খেলতে নেমে আগ্রাসী ফিফটি করেন সাহিবজাদা ফারহান। তার ও সাইম আইয়ুবের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে ঝড় তোলেন হাসান নাওয়াজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। ফলে বড় পুঁজি পেয়ে যায় সফরকারীরা।

সাইমের সঙ্গে সাহিবজাদার ওপেনিং জুটিতে ৪৭ বলে আসে ৮২ রান। এরপর অবশ্য এতো বড় জুটি দাঁড় করাতে পারেনি তারা। তবে ছোট ছোট জুটিতেই শক্ত ভিত মিলে যায় তাদের। মাঝে মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গে অধিনায়ক সালমান আগার ৪১ রানের জুটি এগিয়ে দেয় তাদের।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে ফারহানের ব্যাট থেকে। ৪১ বলে ৬টি চার ও ৫টী ছক্কায় এই রান করেন এই ওপেনার। সাইম দুটি চার ও একটি ছয়ে করেন ২১ রান। হাসান খেলেন ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। তিনি মারেন একটি চার ও তিনটি ছক্কা। নাওয়াজ দুটি করে চার ও ছক্কায় করেন ১৬ বলে ২৭ রান।

বাংলাদেশের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম ৪ ওভারে ২২ রানে পান ২ উইকেট। ১ উইকেট নিতে পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনের খরচা ২৮ রান। বাকিরা ছিলেন খরুচে। ডানহাতি পেসার তাসকিন ৩ উইকেট শিকার করতে দেন ৩৮ রান। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ১ উইকেট নেন ৩৬ রানের বিনিময়ে। অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ৩ ওভারে ৩৯ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য। আরেক অফ স্পিনার মিরাজ ১ ওভার হাত ঘুরিয়েই দেন ১৪ রান।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago