টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ

৫৬ রানে ৯ উইকেট খুইয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সোহানদের বড় হার

ছবি: বিসিবি

২২৮ রানের ভীষণ কঠিন লক্ষ্য। সেটা তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই বিদায় নিলেন নাঈম শেখ। ধাক্কা সামলে জিশান আলম ও সাইফ হাসান পাল্টা আক্রমণে তুললেন ঝড়। তরতর করে এগিয়ে ৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৯২ রান তুলে ফেলল বাংলাদেশ এ দল। তবে এই জুটি ভাঙার পর তালগোল পাকিয়ে ফেলল তারা। মাত্র ৫৬ রানের মধ্যে বাকি ৯ উইকেট খুইয়ে বড় ব্যবধানে হারল দলটি।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে ধরাশায়ী হয়েছে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন এ দল। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও চরম হতাশ করে তারা পরাস্ত হয়েছে ৭৯ রানে। পাকিস্তান শাহিনসের ৪ উইকেটে ২২৭ রানের জবাবে দলটি ১৬.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৪৮ রানে।

টিআইও স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় শাহিনস। শুরু থেকেই এ দলের বোলারদের পড়তে হয় দুই ওপেনার খাজা নাফায় ও ইয়াসির খানের তোপের মুখে। আগ্রাসন চালিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৬৯ রান তুলে ফেলেন তারা। এই জুটি ভাঙে দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে। রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরত যান নাফায়। ততক্ষণে শাহিনসের সংগ্রহ ১১৮ রান।

২৭ বলে ফিফটি ছোঁয়া নাফায় খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। ৩১ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন আটটি চার ও দুটি ছক্কা। সঙ্গী হারিয়ে ইয়াসিরও টেকেননি বেশিক্ষণ। পরের ওভারে মাহফুজুর রহমান রাব্বির শিকার হন। ৩৪ বল হাফসেঞ্চুরি স্পর্শের পর তিনি থামেন ৬২ রানে। ৪০ বল খেলে তিনি মারেন সাতটি চার ও দুটি ছক্কা।

এ দলের বোলারদের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন অবশ্য স্বপ্নই থেকে যায়। তিনে নামা আব্দুল সামাদও বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। একটি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন বাকিরা। মুহাম্মদ ফাইকের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১৮ রান। অধিনায়ক ইরফান খান করেন ১২ বলে ২৫ রান। এ দলের ছয় বোলারের সবাই অন্তত ওভারপ্রতি গড়ে সাড়ে আট রান দেন। মাহফুজুর ছাড়া উইকেটের দেখা পান হাসান মাহমুদ ও রাকিবুল হাসান।

লক্ষ্য তাড়ায় নাঈম দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর জিশান ও সাইফ জ্বলে ওঠেন। মাত্র ৩৮ বলে দুজনে গড়েন ৮৬ রানের বিধ্বংসী জুটি। তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর কেউ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ধারা বজায় রাখতে পারেননি। তিনে নামা সাইফ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ৩২ বলে। তিনি হাঁকান পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা। ওপেনার জিশান ১৭ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৩৩ রান।

এ দলের হয়ে দুই অঙ্কে পৌঁছান আর কেবল অধিনায়ক সোহান। ১৬ বলে দুটি চারে ২২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। টিকতে পারেননি আফিফ হোসেন ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শাহিনসের হয়ে ফয়সাল আকরাম ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। সমান সংখ্যক উইকেট শিকার করতে সাদ মাসুদ দেন ৩০ রান।

টপ এন্ডের এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ১১টি দল। বাকিরা হলো নেপাল, মেলবোর্ন স্টার্স একাডেমি, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি, অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমি, মেলবোর্ন রেনেগেডস একাডেমি, পার্থ স্কর্চার্স একাডেমি, নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক, শিকাগো কিংসমেন ও হোবার্ট হারিকেন্স একাডেমি। বাংলাদেশ এ দলের পরের ম্যাচ আগামী শনিবার নেপালের বিপক্ষে।

Comments

The Daily Star  | English

Drive underway in Demra to recover Sada Pathor looted from Bholaganj

Rab claims to have found Bholaganj’s white stone stored in seven warehouses

1h ago