পাকিস্তানি অধিনায়কের অনুপ্রেরণা ধোনি

প্রথমবারের মতো পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দেবেন তরুণ অলরাউন্ডার ফাতিমা সানা। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই এত বড় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া তার জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি অনুপ্রেরণার উৎসও বটে। আর সেই অনুপ্রেরণা খুঁজে নিচ্ছেন তিনি সীমান্তের ওপার থেকে, ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বগুণ থেকে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ। তার আগে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সানা খোলাখুলি জানালেন নিজের অনুভূতির কথা, 'এমন বড় টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করতে গিয়ে প্রথমদিকে একটু নার্ভাস লাগছিল। কিন্তু আমি প্রেরণা পাই মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে।'
'ভারত ও চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে তার ম্যাচগুলো দেখেছি। মাঠে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া, শান্ত থাকা এবং সতীর্থদের আস্থা দেওয়ার ভঙ্গি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। অধিনায়কত্ব হাতে পাওয়ার পরই ভেবেছিলাম, আমাকে ধোনির মতো হতে হবে। তার সাক্ষাৎকারও দেখেছি, সেখান থেকেও অনেক কিছু শিখেছি,' যোগ করেন সানা।
ধোনির অধিনায়কত্বের সোনালি অধ্যায় ক্রিকেট ইতিহাসে স্থায়ী হয়ে আছে, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়; আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে পাঁচবার শিরোপা জেতানোও তার ক্যারিয়ারের গৌরবময় অংশ। সানার চোখে এই ধোনিই সেরা রোল মডেল।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের অর্জন এখনো নগণ্য। পাঁচটি আসরে অংশ নিয়েও জয়ের সংখ্যা মাত্র তিন। ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়টাই তাদের সর্বশেষ সাফল্য। গতবার তারা ছিল তালিকার একেবারে নিচে। তবে এবার সেই ইতিহাস বদলাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ফাতিমা সানা।
জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ ওয়ানডেতে ৩৯৭ রান আর ৪৫ উইকেট নেওয়া এই অলরাউন্ডার দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন, 'এইবার আর আগের মতো হবে না। তরুণ ক্রিকেটাররা জানে এই টুর্নামেন্ট পাকিস্তান নারী ক্রিকেটের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অতীত নিয়ে ভাবছি না। আমার লক্ষ্য হলো দলকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দেওয়া।'
শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও পরিবর্তনের হাওয়া দেখছেন সানা। তার ভাষায়, 'এখন মেয়েরা স্কুলে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। আইসিসি পুরস্কারের অর্থও বাড়িয়েছে, যা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। তবে এখনও কিছু বাধা আছে, যা ভাঙতে হবে এই বিশ্বকাপ দিয়েই।'
কোয়ালিফায়ারে অপরাজিত থেকে মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়া পাকিস্তান এবার আত্মবিশ্বাসী। ২ অক্টোবর কলম্বোয় বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান। আর ৫ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে মহারণ নিয়েই আগ্রহ ও উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন ফাতিমা সানা ও তার দল।
Comments