বোর্নমাউথের জালে ৯ বার বল পাঠিয়ে লিভারপুলের রেকর্ড
প্রথম তিন ম্যাচে দুই ড্রয়ের সঙ্গে এক হার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের শুরুটা একদম প্রত্যাশামাফিক হয়নি শিরোপার খোঁজে থাকা লিভারপুলের। ব্যর্থতার এই বৃত্ত অলরেডরা ভাঙল গোলের বন্যা বইয়ে দিয়ে। ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা ভাগ বসাল আসরের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডেও।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বোর্নমাউথকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে যা কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের যৌথ রেকর্ড। একপেশে লড়াইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠানোর উল্লাস করে তারা।
প্রথমার্ধে ৫-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভারপুল দ্বিতীয়ার্ধে আরও চারবার বল পাঠায় প্রতিপক্ষের জালে। তাদের হয়ে দুটি করে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো ও কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড লুইস দিয়াজ। দলটির বাকি গোলদাতারা হলেন হার্ভে এলিয়ট, ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ড, ভার্জিল ভ্যান ডাইক ও ফাবিও কারভালহো। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। দুর্ভাগ্যবশত নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে ফেলেন ক্রিস মেম্ফাম। জোড়া গোলের পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্ট করেন ম্যাচসেরা ফিরমিনো। তবে তারকা মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ করতে পারেননি লক্ষ্যভেদ।
প্রিমিয়ার লিগে নয় গোলের বিশাল ব্যবধানে জয়ের চতুর্থ কীর্তি এটি। দুবার তা করে দেখিয়েছে প্রতিযোগিতার সফলতম ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১৯৯৫ সালে ইপ্সউইচ টাউনকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম দল হিসেবে রেকর্ডটি করেছিল তারা। গত বছর রেড ডেভিলরা একই ব্যবধানে হারিয়েছিল সাউদাম্পটনকে। মাঝে ২০১৯ সালে সাউদাম্পটনকেই ৯-০ গোলে নাস্তানাবুদ করেছিল লেস্টার সিটি।
ম্যাচের পরিসংখ্যানেও স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে স্বাগতিকদের দাপটের চিত্র। ৭১ শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণে রেখে গোলমুখে ১৯টি শট নেয় লিভারপুল। লক্ষ্যে থাকা ১২টির মধ্যে নয়টি খুঁজে পায় নিশানা। অন্যদিকে, বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়া বোর্নমাউথের পাঁচটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে।
এই জয়ে চার ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার পয়েন্ট তালিকার আটে উঠল ক্লপের দল। ৩ পয়েন্ট পাওয়া বোর্নমাউথের অবস্থান ১৬ নম্বরে। একমাত্র দল হিসেবে চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্সেনাল।
Comments