নেইমার-এমবাপের গোল, মেসির জোড়া অ্যাসিস্ট, পিএসজির জয়

ছবি: রয়টার্স

আক্রমণভাগের তিন বিস্ফোরক ত্রয়ী জ্বলে উঠলেন একসঙ্গে। নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপে খুঁজে নিলেন জালের ঠিকানা। তাদের গোলে অবদান রাখলেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী লিওনেল মেসি। তাতে জয়ে ফিরল লিগ ওয়ানের শিরোপাধারী পিএসজি। ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা গুঁড়িয়ে দিল তুলুজকে।

বুধবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় পেয়েছে প্যারিসিয়ানরা। প্রথমার্ধে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের লক্ষ্যভেদের পর দ্বিতীয়ার্ধে নিশানা ভেদ করেন ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপে। একদম শেষদিকে ব্যবধান বাড়ান হুয়ান বার্নাত। আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি ফ্রি-কিকসহ বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা চালালেও গোলের উল্লাস করতে ব্যর্থ হন।

তুলুজের গোলমুখে ২০টি শট নিয়ে ১৩টি লক্ষ্যে রাখা পিএসজির জয়ের ব্যবধান হতে পারত আরও বড়। তাদের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক ম্যাক্সিম দুপে। সব মিলিয়ে নয়টি সেভ করেন তিনি। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি ছিল এক কথায় অসাধারণ।

৩৭তম মিনিটে মেসির রক্ষণচেরা পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে বল জালে পাঠান নেইমার। শুরুতে লাইন্সম্যান তুলেছিলেন অফসাইডের পতাকা। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলে পাল্টে যায় সেই সিদ্ধান্ত। রেফারি গোলের বাঁশি বাজালে উৎসবে মাতে সফরকারীরা। আসরে পাঁচ ম্যাচে নেইমারের এটি সপ্তম গোল।

বিশ্বকাপজয়ী এমবাপে ৫০তম মিনিটে দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে অনেকটা দৌড়ে স্বাগতিকদের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। এরপর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে খুঁজে নেন ফাঁকায় থাকা এমবাপেকে। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে গোল করেন তিনি। আসরে চার ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়াল পাঁচে।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে তুলুজের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন সাত মিনিট আগে বদলি নামা বার্নাত। এমবাপের দূরপাল্লার শট পোস্টে বাধা পেয়ে দুপের গায়ে লাগার পর ফাঁকায় পেয়ে যান তিনি। বাঁ পায়ের জোরালো কোণাকুণি শটে জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের।

পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে লিগ ওয়ানের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে পিএসজি। তাদের পয়েন্ট ১৩। আগের ম্যাচে মোনাকোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট পেলেও গোল পার্থক্যে পিছিয়ে লেঁস দুইয়ে ও অলিম্পিক মার্সেই তিনে অবস্থান করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Three of a family 'beaten to death' in Cumilla

Police say villagers beat them on suspicion of drug trading

53m ago