এমবাপের জোড়া গোলে জুভেন্তাসকে হারাল পিএসজি
ম্যাচের আধা ঘণ্টা পার না হতেই কিলিয়ান এমবাপের দারুণ দুটি কোণাকোণি ভলি। প্রথমটি বাঁ প্রান্ত থেকে, দ্বিতীয়টি ডান প্রান্ত থেকে। দুটিই খুঁজে পেল জালের ঠিকানা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল করে ম্যাচে ফিরেছিল জুভেন্তাস। তবে সমতায় ফেরা হয়নি। ফলে দারুণ এক জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর শুরু করল পিএসজি।
মঙ্গলবার রাতে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের 'এইচ' গ্রুপের ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। দলের হয়ে দুটি গোলই করেছেন এমবাপে। জুভেন্তাসের হয়ে গোলটি করেন ওয়েস্টন ম্যাককিনি।
মাঝমাঠের দখল কিছুটা বেশি ছিল পিএসজির। ৫৭ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। শটও নেয় জুভেন্তাসের চেয়ে দুটি বেশি। মোট ১৫টি শটের ছয়টি লক্ষ্যে রাখে তারা। অন্যদিকে ১৩টি শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তুরিনের ক্লাবটি।
ম্যাচের শুরুতেই এমবাপে ও নেইমারের রসায়নে গোল পায় পিএজসি। পঞ্চম মিনিটে নেইমারকে পাস দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান এমবাপে। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে দারুণ এক চিপে ফাঁকায় ঢুকে যাওয়া এমবাপেকে বল বাড়ান নেইমার। আর গোলরক্ষককে একা পেয়ে অসাধারণ এক ভলিতে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি এ ফরাসি তরুণের।
তবে ১৯তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো জুভেন্তাস। অবিশ্বাস্য এক সেভে পিএসজিকে বাঁচান গোলরক্ষক দোন্নারুমা। ডান প্রান্ত থেকে নেওয়া হুয়ান কুয়াদ্রাদোর নিখুঁত ক্রসে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন আলেকজান্ডার মিলিক। কিন্তু দুর্দান্ত দক্ষতায় তা ঠেকিয়ে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক দোন্নারুমা। ফিরতি বলেও দুইবার সুযোগ পেলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ভ্লাহোভিচ-কস্তিকরা।
তবে এর দুই মিনিট পর উল্টো আরও একটি গোল হজম করে সফরকারীরা। ভেরাত্তি ও আশরাফ হাকিমির সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে। ভেরাত্তির কাছ থেকে বল পেয়ে হাকিমিকে পাস দিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সে ঢোকেন এমবাপে। ফিরতি বল পেয়ে দারুণ এক কোণাকোণি ভলিতে জালে খুঁজে নেন এ ফরাসি ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটেই ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতো পিএসজি। নুনো মেন্ডিসের পাস থেকে নেইমারের নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান জুভেন্তাস গোলরক্ষক মাত্তিয়া পেরিন। তিন মিনিট পর মেসির পাস থেকে ডান প্রান্ত দিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রটায় ডি-বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন এমবাপে। অপর প্রান্তে ফাঁকায় ছিলেন নেইমার। কিন্তু তাকে পাস না ইয়ে নিজে শট নিয়ে নষ্ট করেন সে সুযোগ।
৫৩তম মিনিটে সমতায় ফেরে তুরিনের ক্লাবটি। শর্ট কর্নার থেকে কস্তিকের নেওয়া ক্রসে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে বল জালে পাঠান ম্যাককিনি। এক মিনিট পর গোল পেতে পারতো পিএজসিও। এমবাপের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতে পারতেন হাকিমি।
পরের মিনিটে আবারও দুর্দান্ত এক সেভ করেন দোন্নারুমা। ভ্লাহোভিচের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। ৬৪তম মিনিটে হ্যাটট্রিক করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। মেসির বাড়ানো বল থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাঁ প্রান্ত থেকে তার নেওয়া শট লক্ষ্যেই থাকেনি।
তিন মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর চার মিনিট পর তার নেওয়ার আরও একটি শট ঠেকান গোলরক্ষক পেরিন। ৮১তম মিনিটে ডি-বক্সে সৃষ্ট জটলায় গোল হজম করতে পারতো পিএসজি। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো বিপদ হয়নি।
৮৯তম মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। তবে তার শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান জুভেন্তাস গোলরক্ষক। পরের মিনিটে নেইমারের পাস থেকে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ ছিল এমবাপের। কিন্তু তার শট গোলরক্ষক বরাবর হওয়ায় সহজেই লুফে নেন পেরিন।
Comments