ফিক্সিং কাণ্ডে ১১ খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ বাফুফের, ২ ক্লাবকে অবনমন
দেশের ফুটবলে অনলাইন বেটিং, স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ ম্যানিপুলেশনের ঘটনার সত্যতাও পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করে তারা। সে ঘটনায় ১১ ফুটবলারকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে দুই ক্লাব উত্তর বারিধারা ও কাওরানবাজার প্রগতি সংঘকে অবনমনের শাস্তি দিয়েছে বাফুফে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২১-২২ আসরে উত্তর বারিধারা ক্লাব বিভিন্ন ম্যাচে লাইভ বেটিং, স্পট ফিক্সিং, ম্যাচ ম্যানিপুলেশন ও অন লাইন বেটিংয়ে জড়িত থাকায় দ্বিতীয় বিভাগের ফুটবল দুই বছরের জন্য অবনমন করেছে বাফুফে। অর্থাৎ প্রথম বছর দ্বিতীয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হলেও সেই স্তরে আরও এক বছর খেলে উঠে আসতে হবে তাদের। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে ক্লাবটিকে।
উত্তর বারিধারা ক্লাবের পাঁচ খেলোয়াড় গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম খান, ডিফেন্ডার আরিফ খান জয়, ডিফেন্ডার সাইদস্তন ফজিলভ, ডিফেন্ডার রাশেদ হোসেন বিপ্লব ও ডিফেন্ডার মাহমুদ সৈয়দ মোহমেদ আব্দুল রহিমকে দুই বছরের জন্য সব ধরণের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে।
অন্যদিকে কাওরান বাজার প্রগতি সংঘ লাইভ বেটিং, স্পট ফিক্সিং, ম্যাচ ম্যানিপুলেশন ও অন লাইন বেটিংয়ে জড়িত থাকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ২০২১-২২ আসরে। যে কারণে তাদের অবনমন করা হয়েছে তৃতীয় বিভাগ লিগে। বারিধারার মতো তাদেরও সেখানে দুই বছর খেলতে হবে। একই সঙ্গে জরিমানার অঙ্কটাও সমান। অর্থাৎ ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে তাদেরও।
এই ক্লাবের ছয় ফুটবলারকে শাস্তি দিয়েছে বাফুফে। ডিফেন্ডার আকরামুজ্জামান, মিডফিল্ডার আরিফ হাওলাদার, ডিফেন্ডার তরিকুল ইসলাম, ডিফেন্ডার হাছিবুল ইসলাম, ডিফেন্ডার রাকিব ও ডিফেন্ডার মমিনুল ইসলামকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এছাড়া ক্লাবটির তিন কর্মকর্তা সাবেক টিম ম্যানেজার মিজানুর রহমান, কোচ রেজাউল হক জামাল ও টিম ম্যানেজার এস এম সাদিকুর রহমানকে পাঁচ বছরের জন্য ফুটবলের সংশ্লিষ্ট সব কার্যকলাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর গাজীরচট ফুটবল ক্লাবের প্রতিনিধি ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের যুব দলের টিম ম্যানেজার ইস্কাদার মিরজাকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে।
Comments