হালান্ডের গোলে ক্রুয়েফকে স্মরণ গার্দিওলার
লাফিয়ে উঠে হেড দিয়েও যে কাজটা করা কঠিন, সে কাজটা পা উঠিয়ে করে কি অনায়াসেই না করে ফেললেন আর্লিং হালান্ড। দুর্দান্ত এক গোলে আগের দিন ম্যানচেস্টার সিটিকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এ তরুণ। বিস্ময়কর এ গোলে তার বন্দনায় মেতেছে ফুটবল বিশ্ব। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা তো তাকে কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুয়েফের সঙ্গেই তুলনা করলেন।
পিছিয়ে পড়েও আগের দিন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ২-১ গোলের এ জয়ের সিংহভাগ কৃতিত্বই যায় চলতি মৌসুমেই দলে টানা হালান্ডের। ম্যাচের শেষ দিকে অবিশ্বাস্য এ গোলটি করেন তিনি।
হালান্ডের এমন অবিশ্বাস্য গোলে যেন উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে গার্দিওলার, 'যারা আমাকে চেনেন তারা হয়তো জানেন যে একজন ব্যক্তি, শিক্ষাবিদ, কোচ, পরামর্শদাতা এবং সবকিছু মিলিয়ে আমার জীবনে ইয়োহান ক্রুইফের প্রভাব ছিল। অনেক বছর আগে ন্যু ক্যাম্পে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে এমন একটি অবিশ্বাস্য গোল করেছিলেন তিনি।
'এটা ছিল দুর্দান্ত। অনেকটাই হালান্ডের গোলের মতোই ছিল। সে যখন গোলটা করল, আমার তেমনই মনে হয়েছে। আমি মনে মনে বলছিলাম, 'ওহ ইউহান ক্রুয়েফ!' এটা সত্যিই দুর্দান্ত ছিল। প্রথম দর্শনে আমার এমনই মনে হয়েছিল...,' যোগ করেন গার্দিওলা।
এছাড়া সেই গোলে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের কথা মনে হয়েছে গার্দিওলার, 'আমার একটু মনে আছে আমার বন্ধু, প্রিয় বন্ধু ইব্রাহিমোভিচেরও এমন অবিশ্বাস্য গোল করার ক্ষমতা রয়েছে। আর আর্লিং সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে। আমি মনে করি সে স্থিতিস্থাপক, সে নমনীয় এবং তার সঙ্গে (বলের) যোগাযোগ করার এবং জালে ফেলার দারুণ ক্ষমতা আছে।'
চলতি মৌসুমের শুরুতে ৫১ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ডর্টমুন্ড থেকে হালান্ডকে কিনে আনে ম্যানসিটি। জার্সি বদল করলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বিন্দুমাত্র ছেদ পড়েনি। উল্টো যেন আরও ধারালো হয়ে উঠেছেন। এরমধ্যেই নয় ম্যাচে করেছেন ১৩টি গোল।
Comments