রোনালদোর গোলটি দরকার ছিল: টেন হাগ

ছবি: টুইটার

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ক্যারিয়ারে এমন বাজে সময় শেষ কবে এসেছিল! সাত ম্যাচ খেলে ফেললেও জালের ঠিকানার খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে পর্তুগিজ মহাতারকার অপেক্ষার পালা শেষ হলো। মৌসুমের প্রথম গোলটির স্বাদ তিনি পেলেন উয়েফা ইউরোপা লিগে শেরিফ তিরাসপোলের বিপক্ষে। জয়ের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ জানালেন, গোলটি দরকার ছিল রোনালদোর।

বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ক্লাব আসরের 'ই' গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে রেড ডেভিলরা। প্রতিপক্ষের মাঠে জ্যাডন স্যাঞ্চো ১৭তম মিনিটে এগিয়ে দেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পরাশক্তিদের। এরপর ৩৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী রোনালদো।

প্রিমিয়ার লিগ ও ইউরোপা লিগ মিলিয়ে চলতি মৌসুমের আগের সাত ম্যাচে গোলহীন ছিলেন রোনালদো। অষ্টম ম্যাচে এসে খরা কেটেছে ৩৭ বছর বয়সী তারকার। বর্ণাঢ্য ক্লাব ক্যারিয়ারে এটি তার ৬৯৯তম গোল। আর ইউরোপা লিগে প্রথম। মালদোভার ক্লাব শেরিফের জাল কাঁপিয়ে ক্লাব পর্যায়ে ১২৪ নম্বর প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোলের নজির স্থাপন করেছেন তিনি।

ম্যাচের পর গণমাধ্যমের কাছে ইউনাইটেডের কোচ টেন হাগ বলেছেন, গোটা দল রোনালদোর গোলের অপেক্ষায় ছিল, 'রোনালদোর গোলটি দরকার ছিল। অনেকবারই সে গোলের কাছাকাছি গিয়েছিল। আপনারা সব সময়ই দেখেছেন যে সে তীব্রভাবে গোলটি চাইছিল। আমরাও তার জন্য খুশি। গোটা দল তার গোলটি পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল।'

ক্লাব ছাড়ার সম্ভাবনায় প্রাক-মৌসুমের প্রায় পুরোটা সময় ইউনাইটেডের সঙ্গে ছিলেন না রোনালদো। তখনকার ম্যাচগুলো না খেলার প্রভাব রোনালদোর ফিটনেসে পড়েছে বলে মনে করছেন টেন হাগ। তার মতে, ফিটনেসে উন্নতি করতে পারলে আরও গোল পাবেন রোনালদো, 'যখন আপনি প্রাক-মৌসুমের ম্যাচগুলো মিস করেন, তখন এরকম কিছু ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং উপযুক্ত ফিটনেস পেতে কাজ করতে হবে। সে আরও অনেক গোল করবে। সে সত্যিই কাছাকাছি আছে, যখন ফিটনেস আরও ভালো হবে, সে আরও গোল করবে।'

ইউরোপা লিগের শুরুটা ভালো ছিল না ম্যান ইউনাইটেডের। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় তারা। তাই শেরিফের বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট ভীষণ জরুরি ছিল তাদের জন্য। তবে ম্যাচের ফল ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছে রোনালদোর গোলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Three of a family 'beaten to death' in Cumilla

Police say villagers beat them on suspicion of drug trading

53m ago