বোনাসের অর্থ বাঁচাতে দেম্বেলের চুক্তিতে 'চোট-বিরোধী' ধারা

গত কয়েক মৌসুম ধরে আর্থিক দুরবস্থায় রয়েছে বার্সেলোনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি মৌসুমে ক্লাবের সম্পদও বিক্রি করতে হয়েছে তাদের। ক্লাবটির জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল ফুটবলারদের বোনাস পরিশোধ করা। অথচ চোটের কারণে অনেক খেলোয়াড়ই লম্বা সময় থেকেছেন মাঠের বাইরে। তাই বোনাসের বিষয়ে নতুন নীতি গ্রহণ করেছে বার্সার টেকনিক্যাল বিভাগ।
শিরোপা জেতা বা নির্দিষ্ট সংখ্যক গোল করার ভিত্তিতে সব খেলোয়াড়ই বোনাস পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য একটি নিয়ম মেনে চলত বার্সেলোনা। একজন ফুটবলারের পক্ষে যতগুলো ম্যাচ খেলা সম্ভব, সেটার ৫০ শতাংশ খেলতে হতো। তবে এই নিয়মে ছিল একটি ফাঁক।
কী সেই ফাঁক? কোনো খেলোয়াড় যদি চোটের কারণে ছিটকে যেতেন, তাহলে যতগুলো ম্যাচ খেলতে পারতেন না, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হতো না। যতগুলো ম্যাচ খেলার জন্য তিনি ফিট থাকতেন, সেগুলোর অর্ধেকে মাঠে নামতে পারলেই মিলত বোনাসের পুরো অর্থ। এতে ফরাসি উইঙ্গার উসমান দেম্বেলের মতো চোটপ্রবণ খেলোয়াড়কে নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো বার্সাকে। কারণ, যখন তিনি ফিট থাকেন, তাকে সাধারণত শুরুর একাদশেই রাখে কাতালানরা। কিন্তু ভবিষ্যতে বোনাস নিয়ে আর এমন পরিস্থিতিতে পড়তে চায় না লা লিগার ক্লাবটি।
চোটের ব্যাপারটি মাথায় রেখে নতুন নীতি বেছে নিয়েছে বার্সা। স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, আরও কয়েকজনের মতো তার চুক্তিতেও একটি 'চোট-বিরোধী' ধারা যুক্ত করা হয়েছে। যদিও বাকিদের নাম জানায়নি তারা।
এখন থেকে চোটের কারণে মিস করা ম্যাচগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে। অর্থাৎ গোটা মৌসুমে বার্সেলোনা সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে যতগুলো ম্যাচ খেলবে, সেটার ৫০ শতাংশে মাঠে থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। তাহলেই মিলবে বোনাস। ক্লাবটির মতে, চোটের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রাও দায়ী। কারণ, অনেক সময়ই তারা নিজেদের প্রতি যত্নশীল থাকেন না।
২০১৭ সালে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে দেম্বেলেকে দলে টানে বার্সা। সেজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয় দলটিকে। তাকে পেতে ব্যয় করা ১০৫ মিলিয়ন ইউরো ছিল সেসময়ের যৌথ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি। কিন্তু প্রথম থেকেই নানা রকমের চোটে বহুবার মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে দেম্বেলেকে। বার্সেলোনার হয়ে তার ষষ্ঠ মৌসুম চললেও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫৭ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি। তার নামের পাশে রয়েছে ৩৪ গোল।
Comments