পিএসজি ছাড়তে মরিয়া এমবাপে, প্রয়োজনে ফেরত দেবেন অর্থ

এবার ডালপালা মেলেছে নতুন গুঞ্জন। ফরাসি পরাশক্তিদের সঙ্গে নাকি এমবাপের সম্পর্ক একেবারেই ভালো যাচ্ছে না।
kilian mbappe
ছবি: সংগৃহীত

কিলিয়ান এমবাপের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া নিয়ে কম নাটক হয়নি। অনেক আশা দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে বোমা ফাটান ফরাসি তারকা। ইউ-টার্ন নিয়ে তিনি থেকে যান প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতেই (পিএসজি)। তবে এবার ডালপালা মেলেছে নতুন গুঞ্জন। ফরাসি পরাশক্তিদের সঙ্গে নাকি এমবাপের সম্পর্ক একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। ক্লাব ছাড়তে এতই মরিয়া হয়ে উঠেছেন যে দরকার হলে অর্থ ফেরত দিতেও তৈরি তিনি!

রোববার স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদনে এমবাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরেক দফা জল্পনা-কল্পনার রসদ মিলেছে। কয়েকটি নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র দাবি করেছে, পরিস্থিতি এতই খারাপের দিকে গেছে যে আগামী বছরের জানুয়ারিতেই দল ছাড়তে চান তিনি। তাছাড়া, দলের আরেক তারকা নেইমারের সঙ্গেও সম্পর্কটা একদম শীতল হয়ে গেছে বিশ্বকাপজয়ী এই স্ট্রাইকারের।

শেষ পর্যন্ত এমবাপেকে ছেড়ে দিতে রাজি হলেও বেশ কঠিন এক শর্ত চাপিয়ে দিতে পারে পিএসজি কর্তৃপক্ষ। আর সেটা হলো, যেখানেই যান না কেন, স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালে কিছুতেই যোগ দিতে পারবেন না তিনি। ফলে অতীতে অনেক চেষ্টা করেও তাকে দলে টানতে না পারা লিভারপুলই হতে পারে এমবাপের একমাত্র বিকল্প। তবে এখনই রিয়ালের জার্সি গায়ে চাপানোর আশা ছাড়ছেন না তিনি।

কেবল তা-ই নয়, এবার কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসছে সাপও! রাজনৈতিক চাপের কারণেই নাকি শেষ মুহূর্তে প্যারিসে থেকে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন এমবাপে, শোনা যাচ্ছে এমন গুঞ্জনও।

পার্ক দে প্রিন্সেসের ক্লাবটির সঙ্গে নতুন চুক্তির সময় যে আকাশচুম্বী অর্থ পেয়েছিলেন, প্রয়োজনে সেটাও ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত এমবাপে! ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার মনে করছেন, পিএসজি ধোঁকা দিয়েছে তাকে।

গত মে মাসে চুক্তি নবায়নের স্বার্থে এমবাপেকে একাধিক লোভনীয় প্রস্তাবের জালে বন্দি করেছিল প্যারিসিয়ানরা। এর মধ্যে অন্যতম ছিল, খেলোয়াড়  কেনা-বেচায় তাকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। তবে সেসবের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন না এমবাপে। সেকারণে নাখোশ হয়ে ক্লাব ছাড়তে ইচ্ছুক তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago