আর্জেন্টিনা কাউকে ভয় পাচ্ছে না, বললেন মেসি

ছবি: এএফপি

২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াইয়ে অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনা। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে থাকা বাকি দলগুলোকে সমীহ করছেন তাদের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। একইসঙ্গে সতর্ক বার্তাও দিয়ে রাখছেন পিএসজির এই তারকা ফরোয়ার্ড।

আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় ফুটবলের মহাযজ্ঞে 'সি' গ্রুপে খেলবে আর্জেন্টিনা। দুইবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা একেবারে সহজ গ্রুপে পড়েনি। লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের অন্য তিন প্রতিপক্ষ উত্তর আমেরিকার মেক্সিকো, ইউরোপের পোল্যান্ড ও এশিয়ার সৌদি আরব।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছে আলবিসেলেস্তেরা। টানা ৩৫ ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে তারা। গত বছর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মাটিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তোলে তারা। এরপর চলতি বছর লা ফিনালিসিমায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী ইতালিকে বিধ্বস্ত করে আর্জেন্টিনা। ফলে বিশ্বকাপে তাদের পক্ষে বাজি ধরার লোক অনেক।

মেসি খুব ভালো করেই জানেন যে ফেভারিট তকমা গায়ে থাকলেও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভীষণ কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ডিরেক্টিভিকে তিনি শুক্রবার বলেছেন, 'আমাদের জন্য শান্ত থাকা কঠিন। আমি আর্জেন্টিনা ও এই দেশটির নাগরিকদের পক্ষ থেকে তা বলতে পারি। আমরা সব সময় সেরাদের কাতারে... আমরা সবসময় বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই প্রত্যাশা পূরণ হয় না।'

'মানুষ রোমাঞ্চিত থাকে, তাদের চাওয়ার পারদ উঁচুতে থাকে, তারা মনে করে যে আমরা শিরোপা নিয়ে ফিরে আসব। কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। কারণ, বিশ্বকাপ খুব কঠিন। নিজেদের নিংড়ে দিতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'

ছন্দে থাকায় ভক্তদের স্বপ্ন দেখার কারণ বুঝতে পারছেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি। সেই হাওয়ায় গা ভাসাতে নারাজ হলেও নিজেদের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি, 'হ্যাঁ, অনেকে ভাবছে আমরা শিরোপা জিতব। কারণ, দল হিসেবে আমরা একটি দুর্দান্ত ফর্মে আছি।... আমি বলছি যে আমরা লড়াই করতে যাচ্ছি। আমরা কাউকে ভয় পাই না। কারণ, আমরা যে কারও বিপক্ষে খেলতে প্রস্তুত। তবে সেটা শান্তভাবে।'

১৯৮৬ সালের পর আর বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি আর্জেন্টিনার। যদিও তারা দুবার খুব কাছে পৌঁছেছিল ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে। আট বছর আগে ব্রাজিলের মাটিতে জার্মানির কাছে ফাইনালে হেরে যাওয়া দলটিতে ছিলেন মেসিও। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অনেক শিরোপা জিতলেও বিশ্বকাপ এখনও অধরা থেকে গেছে তার।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Smaller Asian nations, including Bangladesh, have been hit with some of the most punitive duties under the Trump administration’s tariff policy. The official justification for these tariffs was to correct what the administration called unfair trade deficits, where countries export more to the United States than they import.

9h ago