ইন্টারকে পেছনে ফেলে নকআউট পর্বে যাবে বার্সা, বিশ্বাস কেসির

পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে দুর্বল ভিক্তরিয়া প্লাজের উপর। আগের চার ম্যাচে জয় তো দূরের কথা, দলটি গোলই হজম করেছে ১৬টি। তাদেরই রুখে দিতে হবে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানকে! এমন অবিশ্বাস্য সমীকরণের সামনে থেকেও বার্সেলোনাকে নকআউট পর্বে দেখছেন মিডফিল্ডার ফ্র্যাঙ্ক কেসি।

আর ইন্টারকে প্লাজেন রুখে দিলেই যেই সমীকরণ মিলে যাবে তাও নয়। ইতালিয়ান ক্লাবটির সুযোগ থাকছে আরও একটি। এরপর বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জয় পেলেও চলবে তাদের। এছাড়া নিজেদের বাকি দুটি ম্যাচেও তো জিততে হবে বার্সেলোনাকে। যেখানে আগের চার ম্যাচে এক দুর্বল প্লাজেন ছাড়া জয় নেই অন্য কারো বিপক্ষে।

বুধবার রাতে ভিক্তরিয়া প্লাজেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইন্টার। ম্যাচটি হবে আবার সানসিরোতে। ঘরের মাঠে কাজটা খুব বেশি কঠিন হওয়ার কথা নয় দলটির জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে আবার বেশ ছন্দেও আছে তারা। এএস রোমার কাছে হারার পর শেষ পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত দলটি। জয় তুলে নিয়েছে চারটিতেই। স্রেফ নুন্যতম ব্যবধানে একটা জয় চাই ইন্টারের।

আগামীকাল বুধবার রাতে মাঠে নামছে বার্সেলোনাও। প্রতিপক্ষ 'সি' গ্রুপ থেকে এরমধ্যেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা বায়ার্ন। তবে নিজেদের অবস্থানটা থাকবে কোথায়, তা মাঠে নামার আগেই জেনে যাবে কাতালানরা। কারণ তাদের ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই ফলাফল চলে আসবে ইন্টার ও প্লাজেনের ম্যাচের। 

তবে বিশ্বাস হারাতে চান না কেসি। স্পোর্তের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, 'চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যা ঘটেছে তারপর থেকে দলটি বেশ বিচলিত। কিন্তু আমরা এখনও সঠিক পথে আছি। জাভি এবং তার স্টাফরা জানেন কীভাবে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায়, পরের ম্যাচগুলোর জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটা (নকআউট পর্বে ওঠা) কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। আমি চাই সমর্থকরাও বিশ্বাস রাখুক।'

নকআউট পর্বে ওঠার সমীকরণটা বার্সেলোনা কঠিন করে ফেলে ঘরের মাঠে ইন্টারের সঙ্গে ড্র করে। এর আগে সানসিরোতে অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েও হারে দলটি। একই অবস্থা বাভারিয়ানদের বিপক্ষেও। ফলে চার ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে কোণঠাসা হয়ে আছে তারা। কেবল ভাগ্য দেবী সঙ্গ দিলেই মিলতে পারে জটিল এ সমীকরণ।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Migrants in Malaysia: Worker faces deportation after speaking up

Nearly 200 workers then began a strike on Friday, he said, requesting not to be named for fear of backlash.

7h ago