হালান্ডকে ছাড়া লেস্টারকে হারাতে ঘাম ছুটে গেল সিটির

চোটের কারণে স্কোয়াডেই ছিলেন না 'গোলমেশিন' আর্লিং হালান্ড। তাকে ছাড়া আরও একটি ম্যাচে বেশ ভুগেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। যদিও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় মিলেছে তাদের। তবে চলতি মৌসুমে সংগ্রাম করতে থাকা লেস্টার সিটির বিপক্ষে জয় পেতে ঘাম ছুটে গেছে দলটির।

শনিবার কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন কেভিন ডি ব্রুইনা। তাতে আর্সেনালকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে সিটিজেনরা।

ম্যাচের মাঝমাঠের দখল ছিল সিটিরই। ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। ১৫টি শট নিতে পারে তারা। যার ৫টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ১০টি শট নিয়েই ৫টি শট লক্ষ্যে রাখে লেস্টার। তবে গোল পায়নি তারা।

১২ ম্যাচে নয়টি জয় ও দুইটি ড্রয়ে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে আসে ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনালের পয়েন্ট ২৮। তবে আগামীকাল নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে জয় পেলে ফের শীর্ষে উঠে যাবে গানাররা। ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন অঞ্চলে লড়াই করছে লেস্টার।

এদিন ভাগ্যও সঙ্গে ছিল সিটির। দারুণ ছিল সুযোগ ছিল লেস্টারেরও। একবার তো বল বারপোস্টে লেগেও ফিরে আসে। অন্যথায় ভিন্নও হতে পারতো ম্যাচের ফলাফল। তবে প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে সিটি। প্রথম ১৭ মিনিটের মধ্যে গোল করার মতো দারুণ তিনটি সুযোগও তৈরি করেছিল দলটি। কিন্তু লেস্টার সিটি গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ডের দক্ষতায় হতাশ হতে হয় তাদের।

পাল্টা আক্রমণ থেকে মাঝে মধ্যেই ভীতি ছড়িয়েছে লেস্টারেরও। প্রথমার্ধে ভালো একটি সুযোগ ছিল তাদেরও। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান সিটি গোলরক্ষক এদেরসন মোয়ারেস। দ্বিতীয়ার্ধে ইউরি টিলেমানসের একটি শট এদেরসনের হাতে লেগে বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। শেষ ২০ মিনিটে সিটি শিবিরে প্রবল চাপ সৃষ্টি করে লেস্টার। কিন্তু টিলেমানস-ম্যাডিসনদের ব্যর্থতা ও এদেরসনের দারুণ সেভে গোল পায়নি দলটি।

বিরতির পর চার মিনিট না যেতেই কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক গোলটি পায় সিটি। দুর্দান্ত ফ্রি কিক থেকে সরাসরি বল জালে পাঠান ডি ব্রুইনা। ২১ মাসের বেশি সময় পর সিটির হয়ে সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে প্রিমিয়ার লিগে গোল করলেন এ বেলজিয়ান।

Comments

The Daily Star  | English

Strikes on Iran mark Trump's biggest, and riskiest, foreign policy gamble

The dramatic US strike, including the targeting of Iran’s most heavily fortified nuclear installation deep underground, marks the biggest foreign policy gamble of Trump’s two presidencies and one fraught with risks and unknowns.

1h ago