চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে উঠল যে ১৬ ক্লাব
ইতি ঘটল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০২২-২৩ মৌসুমের গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ের। আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল নকআউট পর্বের ১৪টি ক্লাব। ফাঁকা ছিল দুটি স্থান। শেষ রাউন্ডের শেষদিনে বাকিদের সঙ্গী হলো এসি মিলান ও আরবি লাইপজিগ। আর পিএসজিকে টপকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চমক দেখাল বেনফিকা।
বুধবার রাতে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচগুলো ছিল 'ই', 'এফ', 'জি' ও 'এইচ' গ্রুপের।
'ই' গ্রুপে চেলসির শেষ ষোলোতে খেলা নিশ্চিত ছিল আগেই। ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দিনামো জাগরেবকে ২-১ গোলে হারিয়ে তারা হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির পয়েন্ট ছয় ম্যাচে ১৩। গ্রুপের আরেক ম্যাচে নিজেদের মাঠ সান সিরোতে অলিভিয়ের জিরুর জোড়া লক্ষ্যভেদে সালজবুর্গকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মিলান। ১০ পয়েন্ট নিয়ে ইতালিয়ান সিরি আর শিরোপাধারীরা হয়েছে গ্রুপ রানার্সআপ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ হয়েছে 'এফ' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন। তারা ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেলটিককে বিধ্বস্ত করেছে ৫-১ গোলে। স্প্যানিশ লা লিগার পরাশক্তিদের অর্জন ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট। তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে লাইপজিগ। শাখতার দোনেৎস্কের মাঠে তারা জিতেছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে উয়েফা ইউরোপা লিগে নেমে গেছে শাখতার।
'জি' গ্রুপ থেকে কোন দুই দল শেষ ষোলোতে যাবে তা আগেই চূড়ান্ত হয়েছিল। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারী ম্যানচেস্টার সিটি ছয় ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। তারা সেভিয়াকে নিজেদের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। এফসি কোপেনহেগেনের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড হয়েছে গ্রুপ রানার্সআপ। তাদের পয়েন্ট ৯।
চরম নাটকীয়তার দেখা মিলেছে 'এইচ' গ্রুপে। পিএসজি ও বেনফিকা নকআউট পর্ব আগেই নিশ্চিত করেছিল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আলাদা আলাদা ম্যাচে খেলতে নেমেছিল তারা। জুভেন্তাসের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে ফরাসি লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। এতে তাদের পয়েন্ট হয়েছে ছয় ম্যাচে ১৪। কিন্তু তাদেরকে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। পিএসজিকে টপকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেনফিকা। তারা ম্যাকাবি হাইফাকে তাদের মাঠেই ৬-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
বেনফিকার পয়েন্টও ছয় ম্যাচে ১৪। পিএসজির মতো তারাও প্রতিপক্ষের জালে ১৬ বার বল পাঠানোর বিপরীতে হজম করেছে ৭ গোল। এমনকি মুখোমুখি লড়াইয়েও আলাদা করা যায়নি দুই ক্লাবকে। তাদের মধ্যকার ম্যাচ দুটি ড্র হয় ১-১ গোলে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বেছে নিতে তাই দ্বারস্থ হতে হয় অন্য নিয়মের- প্রতিপক্ষের মাঠে কারা সবমিলিয়ে বেশি গোল করেছে। বেনফিকা করেছে ৯ গোল, পিএসজি ৬ গোল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে উঠল যারা:
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন: নাপোলি (এ), এফসি পোর্তো (বি), বায়ার্ন মিউনিখ (সি), টটেনহ্যাম হটস্পার (ডি), চেলসি (ই), রিয়াল মাদ্রিদ (এফ) ম্যানচেস্টার সিটি (জি), বেনফিকা (এইচ)
গ্রুপ রানার্সআপ: লিভারপুল (এ), ক্লাব ব্রুজ (বি), ইন্টার মিলান (সি), এইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্ট (ডি), এসি মিলান (ই), আরবি লাইপজিগ (এফ), বরুশিয়া ডর্টমুন্ড (জি), পিএসজি (এইচ)।
Comments