আলভেজের যৌন কেলেঙ্কারি: সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাইলেন জাভি

দানি আলভেজের যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে আবারও কথা বলেছেন বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। তবে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে এবার ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগী সেই নারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এ স্প্যানিশ কোচ।

দানি আলভেজের যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে আবারও কথা বলেছেন বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। তবে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে এবার ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগী সেই নারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এ স্প্যানিশ কোচ।

ক্যারিয়ারে লম্বা সময় আলভেজের সঙ্গে একত্রে খেলায় তার প্রতি আলাদা দুর্বলতা রয়েছে জাভির। বার্সার কোচ হয়ে তাকে দ্বিতীয় দফা ক্লাবে এনেছিলেন তিনি। সাবেক সতীর্থের যৌন কেলেঙ্কারির কথা শুনে স্বাভাবিক অবাক হয়েছিলেন জাভি। সহানুভূতিও দেখিয়েছিলেন।

তবে আলভেজের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি স্প্যানিশরা। ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে আগের দিন হেতাফের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে নিজেই সেই প্রসঙ্গ তুলে আনেন জাভি, 'আলভেজ সম্পর্কে গতকাল আমি যা বলেছিলাম তা স্পষ্ট করতে চাই। আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছে এবং আমি মনে করি নিজেকে ব্যাখ্যা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমাদের এই সমস্ত কাজের নিন্দা করতে হবে, যেই করুক না কেন।

এরপর ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, 'আমি ভুক্তভোগী এবং যৌন সহিংসতার শিকারদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি অবাক হয়েছি যে দানিও এই জিনিসগুলোর কোনো একটি করতে পারে। আমি সমালোচনা বুঝতে পারি এবং আমি ক্ষমাপ্রার্থী।'

যৌন হয়রানির অভিযোগে আলভেজ গ্রেফতার হওয়ার পরএ প্রসঙ্গে জাভি বলেছিলেন, 'এই ধরনের পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করা কঠিন। আমি বিস্মিত ও মর্মাহত, মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছি। এটা ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। যেভাবেই হোক ন্যায়বিচার হতে হবে। দানির জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। ও আমাদের সঙ্গে কেমন ছিল তা নিয়ে আমি হতবাক।'

মূল ঘটনাটা সামনে আনে স্পেনের প্রথম সারির এক সংবাদপত্র এবিসি। গত ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বার্সেলোনার সাটন নামে এক নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে নাচার সময় সেই নারীর সম্মতি ছাড়াই তার অন্তর্বাসের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন আলভেজ।

আলভেজ অবশ্য নাইটক্লাবে থাকার বিষয়টি মেনে নিলেও কোনো অন্যায় কাজ করেননি বলে দাবি করেছিলেন, 'হ্যাঁ, আমি সেই জায়গায় ছিলাম, আরও লোকের সঙ্গে উপভোগ করছিলাম। আর যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন যে আমি নাচতে ভালোবাসি। আমি অন্য কারো ক্ষতি না নেচে ছিলাম এবং উপভোগ করছিলাম।'

'আমি জানি না সেই মহিলা কে। আপনি একটি বাথরুমে গিয়েছেন এবং সেখানে কে আছে তা আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে না। আমি কখনো কারো ক্ষতি করিনি। আমি কীভাবে একটি মহিলা বা একটি মেয়ে সঙ্গে এটা করতে পারি? না, ঈশ্বরের দোহাই,' বলেন আলভেজ।

পরে গ্রেফতার করা হয় আলভেজকে। জামিন আবেদনও মঞ্জুর করা হয়নি। আলভেজ পালিয়ে যেতে পারেন এমন যুক্তি উপস্থাপন করেন পাবলিক প্রসিকিউটররা। আদালত তা আমলেও নিয়েছে।  রয়েছেন পুলিশি হেফাজতে। আর এ ঘটনায় গত জুলাইয়ে যোগ দেওয়া মেক্সিকোর ক্লাব পুমাস চুক্তি বাতিল করেছে আলভেজের।

Comments

The Daily Star  | English
Gazipur factory fire September 2024

Column by Mahfuz Anam: Business community's voice needed in the interim government

It is necessary for keeping the wheels of growth running and attracting foreign investment in the new Bangladesh.

10h ago