ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় আর্জেন্টিনা-উরুগুয়েসহ চার দেশ
১৯৩০ সালে ইতিহাসের প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল উরুগুয়ে। একশো বছর পর ২০৩০ সালেও বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় তারা। তবে এককভাবে নয়। প্রতিবেশী আর্জেন্টিনা, চিলি, প্যারাগুয়েকে নিয়ে যৌথভাবে আয়োজনের স্বত্ব পেতে বিড করেছে তারা।
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের এই চার দেশ এই বিডিং করে একটি ট্যাগলাইনও জুড়ে দিয়েছে, 'যেখানে ফুটবলের জন্ম হয়েছিল।' বিশ্বকাপ আয়োজনের সত্ত্ব পেতে তাদেরকে লড়াই করতে হবে স্পেন-পর্তুগাল ও মরক্কো-সৌদি আরবের বিপক্ষে। ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো আয়োজন করবে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ।
দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি আলেহান্দ্রো ডমিনগুয়েজ বলেন, ঐতিহাসিক কারণেই তাদের স্বত্বপাওয়া উচিত, '২০৩০ সালের বিশ্বকাপ স্রেফ আরেকটি বিশ্বকাপ নয়, এটা ১০০ বছর পূর্তির একটা উদযাপনও।'
'আমরা মনে করি ফিফা এই স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখাবে। প্রথম বিশ্বকাপে সেই ঐতিহাসিক যাত্রা উদযাপন করবে।'
রাজধানী মন্টেভিডিওতে ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ জিতে নেয় উরুগুয়ে। এরপর আর বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারেনি তারা। ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করে প্রথমবার কাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে তারা জেতে তৃতীয় ট্রফি।
১৯৬২ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল চিলি। সেবার কাপ জিতে নিয়েছিল ব্রাজিল। প্যারাগুয়ে এখনো বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারেনি।
এদিকে ফুটবলের জনপ্রিয়তার কারণে স্বত্ব পাওয়ার আশা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার, 'দক্ষিণ আমেরিকানের স্বপ্ন এটা। কেবল প্রথম বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্তির জন্যই নয়, ফুটবল নিয়ে আমাদের অঞ্চলের আবেগের কারণে এটা পাওয়া দরকার।'
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে সর্বশেষ বিশ্বকাপ হয় ২০১৪ সালে। ব্রাজিল এককভাবে আয়োজন করে ফুটবল মহাযজ্ঞ। এবার ব্রাজিল ছাড়া লাতিনের চার দেশ চাইছে ইতিহাসের অংশ হতে।
Comments